ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ

প্রকাশিত: ১৯:৩২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ

স্টাফ রির্পোটার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন করেছেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে জয়নুল আবেদীন, এ জে মোহাম্মদ আলী, কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী ও সগীর হোসেন লিওন সকালে আদালতে উপস্থিতি ছিলেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহম্মেদ। মঙ্গলবার বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল (আপিল নম্বর ১৬৭৬/২০১৮) দায়ের করেন। আপিলের ফাইলিং আইনজীবী হয়েছেন আবদুর রেজাক খান। ৪৪টি যুক্তি তুলে ধরে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় কোর্ট বসলে রাষ্ট্রপক্ষে ফরহাদ আহম্মেদ বলেন, তারা খুব অল্প সময় আগে আসামিপক্ষের কাছ থেকে কপি পেয়েছেন। শুনানির আগে তাদের সময় প্রয়োজন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের জাবেদা নকল কপি ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এর পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আপিল দাখিল করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা মডেল থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে। মামলায় খালেদা জিয়া, তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলাটি বিচারাধীন থাকাবস্থায় আরাফাত রহমান কোকো মারা যান।
×