ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান

নতুন দিগন্তের সূচনা

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নতুন দিগন্তের সূচনা

ফোরজি বা চতুর্থ প্রজন্মের প্রযুক্তিতে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। নিঃসন্দেহে এটা সুখবর। প্রযুক্তি ছাড়া উন্নয়ন। এই যুগে ভাবাই যায় না। উন্নত তথ্য প্রযুক্তি যারা ব্যবহার করে। তারাই আজকের বিশ্বে উন্নত, সমৃদ্ধশালী। ফোরজির মূল সুবিধা হলো দ্রুত গতির ইন্টারনেট। যে সব কারণে থ্রিজির মানসম্মত সেবা গ্রাহকরা পাননি সে সবই ফোরজির সুফল ছড়িতে দিতে বড় বাধা হতে পারে। ফোরজির সুবিধা পেতে সবচেয়ে জরুরী অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়াট নিশ্চিত করা। এর কোনই বিকল্প নেই। অধিক সংখ্যক বিএস বসাতে হবে। নতুবা ফোরজিতে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করা যাবে না। যদিও মোবাইল অপরেটরগুলো বলছে, তারা ফোরজি সেবা পৌঁছে দিতে প্রস্তুত। ৬০ হাজার কিলোমিটারের বেশি অপটিক্যাল ফাইবার নের্টওয়াক তৈরি করা হয়েছে। আসলে তারা কতটা প্রস্তুত বিটিআরসির তা দেখা দরকার। কারণ থ্রিজি শুরু হবার পূর্বে বলা হয়েছিল কল ড্রপ কমবে। ইন্টারনেটের গতি বাড়বে। আদৌও কলড্রপ কমেনি। ইন্টারনেটের গতি বাড়েনি। গ্রাহকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বর্তমানে বাজারে মাত্র ১৪ শতাংশ ফোন আছে। যেগুলো ফোরজি ব্যবহারের উপযোগী। এখন ফোরজি নেটওয়ার্ট চালু হলেও তা মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ ভোগ করতে পারবে। অধিকাংশ মানুষ থাকবে ফোরজির বাইরে। কিভাবে অধিক সংখ্যক মানুষ ফোরজির সুবিধা পান। সেটা গভীরভাবে ভাবতে হবে। মূলত ট্র্যান্সমিশন নেটওয়ার্কের অবস্থা, ব্যান্ডউইথের পর্যাপ্ততা, মোবাইল নেটওয়ার্কের সক্ষমতার ওপর ফোরজির গতি নির্ভর করবে। এশিয়ার মধ্যে মিয়ানমারের ফোরজির গতি সবচেয়ে বেশি। প্রায় ৫০০ এমবিপিএস। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ গতি ৬ থেকে ৭ এমবিপিএস এর মধ্যে থাকতে পারে। এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। বাজারে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার নিচে ফোরজি উপযোগী মোবাইল সেট পাওয়া যায় না। তাই কত সংখ্যক মানুষ ফোরজির সুফল পাবে সেটাই প্রশ্ন। মোবাইল হ্যান্ডসেট পুরোটাই আমদানিনির্ভর। তাই হ্যান্ডসেটের ওপর আমদানি শুল্ক কমাতে হবে। যাতে আমদানি কারকরা কম দামে ফোরজি সুবিধা সম্পন্ন হ্যান্ডসেট বিক্রি করতে পারে। বানারীপাড়া, বরিশাল থেকে
×