ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উ. কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন ইভাঙ্কা

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

উ. কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন ইভাঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক ॥ পরমাণু ইস্যুতে চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি প্রশমনে সম্প্রতি উদ্যোগী হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া। আর তাই কিম জং উনের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন ট্রাম্পকন্যা ইভাঙ্কা। চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতকালীন অলিম্পিকের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন ইভাঙ্কা। আর সেখানেই এ আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম নিউজ উইক। সফরের দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন ইভাঙ্কা। এদিকে হঠাৎ করেই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছে উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবার মার্কিন কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। পেন্সের চিফ অব স্টাফ নিক আয়ার্স এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট তার বার্তা নরম করতে পারেন সেই আশায় উত্তর কোরিয়া একটি বৈঠক স্থগিত করেছে। অলিম্পিকের সময় তাদের প্রচারণা চালাতে যেয়ে হয়তো বিষয়টি বাদ দিয়েছিল তারা।’ উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করে আয়ার্স আরো বলেছেন, ‘তারা বৈঠক পরিত্যাগ করেছে অথবা আলোচনায় বসতে তারা কখনোই আন্তরিক ছিল না।’ গত ১০ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতকালীন অলিম্পিক চলাকালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং ও দেশটির আলংকারিক প্রেসিডেন্ট কিম ইয়ং ন্যামের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের। ট্রাম্প প্রশাসন ও পিয়ংইয়ংয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে এটাই ছিল প্রথম বৈঠক হওয়ার সুযোগ। তবে বৈঠকের দুই ঘন্টা আগে সেটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্টেডিয়ামে কিম ইয়ো জংয়ের কয়েক ফুট দূরে বসেছিলেন পেন্স। তবে তারা কোনো কথাবার্তা বলেননি। গত সপ্তাহে পেন্স এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘স্বৈরশাসকের বোনকে আমি এড়িয়ে যাইনি, তবে আমি তাকে উপেক্ষা করেছি। ওই ফোরামে তার দিকে কোনো ধরণের মনোযোগ দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যথার্থ হতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না।’ পেন্সের চিফ অব স্টাফ বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তারা যদি আলোচনায় বসতে চায় তাহলে আমরা তাদেরকে আমাদের অনমনীয় বার্তা দেব। তারা বৈঠকের কথা বললে আমরা বৈঠকে বসব। তিনি এটাও পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, তারা পারমাণকিত অস্ত্র সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্রীকরণ না করলে আমাদের আলোচনা বা অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হবে না।’
×