ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দ্রুতগতির ইন্টারনেটের জগতে প্রবেশ করল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

দ্রুতগতির ইন্টারনেটের জগতে প্রবেশ করল বাংলাদেশ

ফিরোজ মান্না ॥ ফোরজি চালুর মধ্য দিয়ে দেশ এখন দ্রুতগতির ইন্টারনেট ‘সুপার হাইওয়েতে’ যুক্ত হয়েছে। এই সেবার মাধ্যমে ১৪ কোটি মোবাইল গ্রাহক ভয়েস কলের পাশাপাশি ডাটা সার্ভিস সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। থ্রিজি (তৃতীয় প্রজন্মের) যুগের তুলনায় ডাউনলোডের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে বহু গুণ। গুগল সার্চ ইঞ্জিন এখন দ্রুতগতিতে চলছে। যে কোন কিছু সার্চ দিলে নিমেষেই চলে আসছে মোবাইল স্ক্রীনে। গ্রাহককে তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। থ্রিজির খরচেই ফোরজি সেবা ব্যবহার পারবেন তারা। এই সুবিধা থ্রিজিতে থাকলেও তা মোবাইল অপারেটররা এত দিন দিতে পারেনি। টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ভবিষ্যতে ভয়েস কল থাকবে না। গ্রাহকরা ডাটার ওপর নির্ভর করবে। ফোরজি দ্রুতগতির ইন্টারনেট গ্রাহককে ডাটা সেবার সুবিধা দেবে। দেশ এখন উন্নত দেশের পাশাপশি চলতে পারছে। আধুনিক প্রজম্মের ফোরজি সেবা এতদিন আলোচনার মধ্যে থাকলেও আজ তা বাস্তব। ইন্টারনেট সুপার হাইওয়েতে দেশের মানুষ এখন ভ্রমণ করতে পারছেন। বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার তথ্যপ্রযুক্তিতে একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার। সেই কাজটি এখন অনেকাংশে পূরণ হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে তার পূর্ণ বাস্তবায়ন হবে। দেশ তখন উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি জগতে এগিয়ে যাবে। দেশের তরুণ তরুণীরা খুবই মেধাবী। তারা সরকারের ভিশনকে সফল করবেই। মোবাইল সেবায় খুব বেশি পরিবর্তন না হলেও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যাবে ফোরজি সেবায়। এমন কথা বললেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সাব্বির আহমেদ সুমন। তিনি বলেন, ফোরজি নেটওয়ার্ক যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা। মোবাইল অপারেটররা যদি সঠিকভাবে ‘ট্রান্সমিশন’ করতে পারে তাহলে ফোরজি সেবা চমৎকার সেবা হবে। তবে যে কথা বলা হচ্ছে, গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত এখন গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এটা করা খুবই কঠিন কাজ। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত এই সেবা পৌঁছে দিতে হলে যে পরিমাণ তরঙ্গ মোবাইল অপারেটরদের হাতে আছে তা দিয়ে হবে না। আরও বেশি তরঙ্গ বরাদ্দ নিতে হবে। থ্রিজির ক্ষেত্রেও একই কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ থ্রিজি সেবা শহরকেন্দ্রিকই থেকে যায়। ১৮০০ ব্যান্ড তরঙ্গের মাধ্যমে ফোরজি সেবা দেয়া হচ্ছে। অবশ্য এই ব্যান্ড অনেক বেশি বিস্তৃত। এক সঙ্গে অনেক গ্রাহক এই ব্যান্ডে সেবা পেতে পারে। তবে একটা মুশকিল হচ্ছে ফোরজি সাপোর্ট করে এমন হ্যান্ডসেটের সংখ্যা খুব বেশি গ্রাহকের হাতে নেই। বর্তমানে শতকরা ১৫ ভাগ গ্রাহকের হাতে ফোরজি সাপোর্ট করা হ্যান্ডসেট রয়েছে। বাজারেও চাহিদার তুলনায় অনেক কম হ্যান্ডসেট রয়েছে। এখানে একটা অসুবিধা দেখা দিতে পারে।
×