ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিরিয়া ওয়াইপিজিকে সমর্থন দিলে পরিস্থিতি বিপর্যয়কর হবে ॥ তুরস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৩৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সিরিয়া ওয়াইপিজিকে সমর্থন দিলে পরিস্থিতি বিপর্যয়কর হবে ॥ তুরস্ক

অনলাইন ডেস্ক ॥ আফরিনে কুর্দিদের সশস্ত্র শাখা পিপলস প্রটেকশন ইউনিট ( ওয়াইপিজি)’কে সিরিয়া সহযোগিতা দিতে যাচ্ছে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তুরস্ক। তবে খবর সত্যি হলে ওই অঞ্চলে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে দেশটি। সোমবার দেশটির মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তুরস্কের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী বেকির বোজডগ। বোজডগের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, ওয়াইপিজিকে সিরিয়া সরকার সহযোগিতা করবে এমন খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কেননা সিরিয়া তদের সহযোগিতা করলে ওই এলাকায় বড় ধরণের বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। বোজডগ বলেন, আফরিনে ওয়াইপিজির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। একজন সন্ত্রাসীও অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে। সোমবার সকালে সিরিয়ার রাষ্টীয় সংবাদমাধ্যম সানার খবরে বলা হয়, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী আফরিন এলাকায় প্রবেশ করবে। তাদের লক্ষ্য- তুর্কি বাহিনীর হাত থেকে আফরিনের লোকজনকে রক্ষা করা। ওয়াইপিজির সঙ্গে সিরিয়া সরকার একটি চুক্তি সইয়ের পরিকল্পনা করেছে বলে জানায় সানা। ওয়াইপিজির মুখপাত্র নুরি মোহাম্মদ বলেন, দামেস্কের সঙ্গে তাদের কোনো ধরণের চুক্তি হয়নি। নিজেদের ভূখন্ড রক্ষার ব্যাপারে সিরিয়ার সামরিক বাহিনীকে তারা ফোন করেছেন মাত্র। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তুর্কি ও সিরিয় বাহিনীর মধ্যে বড় ধরণের সংঘর্ষ হতে পারে। কেননা ইরান ও রাশিয়ার মতো দেশ সিরিয়াকে সমর্থন দিচ্ছে। ২০১২ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সৈন্যদের উত্তরাঞ্চলীয় কুর্দি এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এরপরই দলের সশস্ত্র শাখা পিপলস প্রটেকশন ইউনিটের (ওয়াইপিজি) সমর্থনে দ্রুততার সঙ্গে ওই এলাকার দায়িত্ব গ্রহণ করে কুর্দিরা। পরে সিরিয়ার বিশাল এক অংশ থেকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধাদের হটিয়ে দেয় ওয়াইপিজি। এরপর আফ্রিন থেকে ওয়াইপিজিকে হটিয়ে দিতে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। কারণ এই গোষ্ঠীটিকে নিজ দেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বর্ধিতাংশ মনে করে তুরস্ক। তুরস্কের ভিতরে কুর্দি অঞ্চলগুলোর স্বায়ত্তশাসনের জন্য গত তিন দশক ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে পিকেকে। কিন্তু তুরস্কের দাবির পরেও পিকেকের সঙ্গে সরাসরি কোনো সামরিক ও রাজনৈতিক যোগাযোগের কথা অস্বীকার করছে ওয়াইপিজি। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সিরীয় সামরিক বাহিনী ও ওয়াইপিজি বহুলাংশে নিজেদের মধ্যে সরাসরি লড়াই এড়িয়ে গেলেও মাঝে মাঝে দু’পক্ষের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
×