ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

এবার প্রাথমিক সমাপনীতে শতভাগ সৃজনশীল প্রশ্ন

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

এবার প্রাথমিক সমাপনীতে শতভাগ সৃজনশীল প্রশ্ন

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে শতভাগ সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রবিবার এ বিষয়ে আদেশ জারি করে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)। আদেশে বলা হয়েছে, ‘২০১৮ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন জাতীয় কর্মশালার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিটি বিষয়ে শতভাগ যোগ্যতাভিত্তিক বা সৃজনশীল প্রশ্ন হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে সৃজনশীল প্রশ্নের হার গত কয়েক বছর ধরে ধাপে ধাপে বাড়াচ্ছিল সরকার। ২০০৯ সালে শুরু হওয়া প্রাথমিক সমাপনীতে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ১০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্ন সংযোজন করা হয়। ২০১৩ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৩৫ শতাংশ এবং ২০১৫ সালে ৫০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা হয়। ২০১৬ সালের পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে ৬৫ শতাংশ প্রশ্ন সৃজনশীল ছিল, বাকি ৩৫ শতাংশ প্রশ্ন ছিল ট্রাডিশনাল। ২০১৭ সালে ৮০ শতাংশ প্রশ্ন ছিল সৃজনশীল আর বাকি ২০ শতাংশ ছিল ট্রাডিশনাল। সৃজনশীল প্রশ্নে চিন্তা করে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই দুই ঘণ্টায় পরীক্ষা শেষ করতে না পারায় ২০১৩ সালে এই পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়। এবার থেকে প্রাথমিক সমাপনীর সবগুলো প্রশ্ন শতভাগ সৃজনশীল হলেও পরীক্ষার সময় আগের মতোই আড়াই ঘণ্টা রাখা হয়েছে। ২০১৭ সালের এইচএসসিতে ২৬টি বিষয়ের ৫০টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। আর চলতি এসএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজী প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হচ্ছে। এদিকে, জেএসসিতে গত বছর বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজী প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়েছে। সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ার ফলে পাবলিক পরীক্ষায় নকলের প্রবণতা কমার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের চিন্তা করে উত্তর লেখার দক্ষতা বাড়ছে বলে দাবি করে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
×