ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মধু চাষ বাড়লেও বাড়ছে না রফতানি

প্রকাশিত: ২১:৪০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মধু চাষ বাড়লেও বাড়ছে না রফতানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিগত ৩৭ বছর ধরে দেশব্যাপী মৌচাষের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করা হলেও এখনো রপ্তানির পরিমাণ অনেকটাই কম। এজন্য মানসম্পন্ন মধু উৎপাদন না করা ও ফসলে কীটনাশক ব্যবহারই কারণ বলে মনে করছেন চাষিরা। রাজধানীর খামারবাড়ি মৌ মেলায় এসে একথা বলেন তারা। পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশে মৌচাষ শুরু হলেও দেশব্যাপী মৌচাষের সম্প্রসারণ ঘটে ১৯৮০ সাল থেকে। বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বর্তমানে দেশে দেড় হাজার থেকে ২ হাজার দক্ষ অদক্ষ মৌচাষি রয়েছেন। সময়ের ব্যবধানে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে মৌচাষ। যার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়, মৌ মেলায়। প্রতিবারের মতো এবারো রাজধানীর খামারবাড়িতে মৌ মেলার আয়োজন করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এতে অংশ নিয়েছে সরকারি-বেসরকারি ৫৪টি প্রতিষ্ঠান। চাষি সংখ্যা ও উৎপাদন বাড়লেও এখনো মধু ব্যবহারে সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন ক্রেতারা। তারা বলেন, মধু অনেক উপকারী একটা খাবার, এটা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটা বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। তবে মধুর উপকারিতা নিয়ে সাধারণের মধ্যে আরও সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত। বর্তমানে দেশে ৩ থেকে ৫ হাজার টন মধু উৎপাদন হয়ে থাকে। এর কিছু অংশ রপ্তানি হলেও অনেক চাষিই সঠিকভাবে মধু সংগ্রহ না করায় চাহিদা থাকলেও রপ্তানির পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া ফসলে কীটনাশক ব্যবহার করায় মৌমাছির উৎপাদনও কমে যাচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, মধু সংগ্রহের বক্সে কীটনাশক ছিটানোর কারণে মাছিরা মধু সংগ্রহে গেলও তারা আর ফিরে আসতে পারে না। অন্যদিকে মধু রপ্তানি উপযোগী করতে হলে ক্যাপিং করতে হবে। পুরোপুরি ক্যাপিং করতে ২০ দিনের মতো সময় লাগে। অনেক চাষিই এত সময় অপেক্ষা করতে চান না। এজন্য বাংলাদেশের মধু রপ্তানিযোগ্য নয়। তাই মৌ মেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, দেশীয় মৌমাছিকে প্রাধান্য দিয়ে মধু উৎপাদন বাড়াতে বিদেশি মৌমাছি থেকে সংকর প্রজাতি উদ্ভাবনে গবেষণায় জোর দিতে হবে।
×