ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনে যেতে চায় আওয়ামী লীগ ॥ সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:৩৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনে যেতে চায়  আওয়ামী লীগ ॥ সেতুমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর বিএনপি নেতারা বলছেন বিএনপি আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। তাহলে কেন এই শক্তিশালী বিএনপির নির্বাচনে যেতে সমস্যা কোথায়? তাদের ভয় কিসের? আওয়ামী লীগ এই বিএনপিকে নিয়েই আগামী নির্বাচনে যেতে চায়। আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক একটা নির্বাচন চায়। রবিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় সংলগ্ন একটি কমিউনিটি সেন্টারে দলের এক যৌথসভা শেষে প্রেসব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। আগামী ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভাকে সফল করতে আয়োজিত এই যৌথসভায় আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ নেতারা ছাড়াও দলের সহযোগী-ভাতৃপ্রতীম সংগঠন ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং সংশ্নিষ্ট জেলার দলীয় সংসদ সদস্যরা যোগ দেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের মাধ্যমে দলটি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে পরিণত হয়েছে। বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারাবলে দন্ডিত, দেউলিয়া, উম্মাদ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও কুখ্যাত কোনো লোক দলটির সদস্য হতে পারত না। দলের কাউন্সিলের কোনো বৈঠক ছাড়াই বিএনপির গঠনতন্ত্রের ওই ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে। তারেক রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে- এমনটি দাবি করে তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে বাসায় বসে কেন তারা তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বাতিল করল- এই প্রশ্নের জবাব তারা এখনো দেয়নি। ৭ ধারা বাতিল করা হয়েছে কী আরেক দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার জন্য? এর জবাব এখনো পাইনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের দাবি করলেও তারা যেখানে সুযোগ পেয়েছে সেখানেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। আজও তারা রাজধানীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানকালে বিশৃঙ্খলা করেছে। এর আগে বিএনপি নেতাকর্মীরা যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছেন। হাইকোর্টের সামনে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে পুলিশের রাইফেল কেড়ে নিয়ে ভাংচুর ও আসামী ছিনতাই করেছেন। আসলে আন্দোলন না করতে পারার অক্ষমতা ঢাকতেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের দাবি করছেন। এ ধরনের দাবির মাধ্যমে তারা তাদের আসল চরিত্র প্রকাশ করতে শুরু করেছে। ৭ মার্চের জনসভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে ঢাকা সিটিতে আওয়ামী লীগ এত বড় জনসভা আর করতে পারবো না। তাই এই জনসভাকে সবচেয়ে বেশিী গুরুত্ব দিতে হবে। সভায় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড নেতারা আসবেন। তারা নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী) বক্তব্য থেকে আগামী একবছরের একটা গাইডলাইন পেয়ে যাবেন। সেটা মনে রেখেই প্রস্তুতি নিয়ে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জনসভায় নিয়ে আসতে হবে। এই জনসভার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আসল স্বাধীনতার ঘোষণা ৭ মার্চের ভাষণের মূল স্পিরিট তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়ার আকাঙ্খা তুলে ধরেন তিনি। এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যৌথসভায় দল ও সহযোগী-ভাতৃপ্রতীম সংগঠন নেতারা ছাড়াও ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলার নেতা এবং সংসদ সদস্যরা ৭ মার্চের জনসভা সমাবেশ সফল করতে মতামত তুলে ধরেন। আগামী ৭ মার্চের জনসভা সফল করার জন্য নেতাদের দিক-নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। জনসভায় দেশের অর্ধেক ভোটার নারীদের উপস্থিতি বাড়ানোর কথাও বলেন তিনি। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দীপুমনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, আফজাল হোসেন, আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, সুজিত রায় নন্দী, দেলোয়ার হোসেন, বিপ্লব বড়ূয়া, এসএম কামাল হোসেন, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।
×