ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০২:৫১, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কারসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছে কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে কোটা সংরক্ষণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি। শনিবার রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে ‘ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর ব্যানারে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়। এদিকে, কোটা সংরক্ষণের দাবীতে শাহবাগে জড়ো হয় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি। কিন্তু‘ পুলিশ কাউকে শাহবাগে মানবন্ধন করতে দেয়নি। কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করতে গিয়ে পুলিশের বাধায় কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে মানববন্ধন করেন। আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, ৫৬ শতাংশ কোটার বাহিরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৪৪ শতাংশ রাখা হয়েছে। সেই ৪৪ শতাংশ আবার থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আগত মেধাবী, নারী কোটায় আগত মেধাবী, উপজাতি কোটায় আগত মেধাবী। এত কোটা দেয়া হয়েছে, যার বিপরীতে সব সময় শূন্যপদ থাকে। যেখানে কারো নিয়োগ দেওয়া হয় না। এটা একটা বৈষম্য। এই সময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন। এগুলো হলো কোটা সংস্কার করে সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনতে হবে, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে খালি থাকা পদগুলোতে মেধাবীদের নিয়োগ দিতে হবে, একই ব্যক্তির একই কোটার সুবিধা বার বার নিয়ে চাকরি পরিবর্তিত বন্ধ করতে হবে, একবার নির্দিষ্ট কোটা সুবিধায় চাকরি নিয়ে চাকুরি পুনরায় অন্য চাকরিতে যেতে চাইলে মেধার ভিত্তি যেতে হবে, প্রিলিমিনারিতে অভিন্ন কার্ট মার্ক এর নিশ্চয়তা দেওয়া উল্লেখযোগ্য। এদিকে, কোটা বহাল রাখার পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি শাহবাগে পুলিশি বাধায় জাতীয় পেসক্লাবে মানববন্ধন করে। মানবন্ধন থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতাকারীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতারা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘কোটার বিরোধিতা তারাই করে যারা রাজাকার ও আলবদর। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও ৩০ শতাংশ কোটার দাবিতে রাস্তায় নামতে হয়। বিষয়টি অত্যন্ত হতাশাজনক। আমরা আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিকে নজর দেবেন।’ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ‘যারা দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, আজকে তারা কোটার বিরদ্ধে আন্দোলন করছেন। মুক্তযোদ্ধারা যদি দেশ স্বাধীন না করতেন, তাহলে কীভাবে তারা স্বাধীন দেশে চাকরি পেতেন।’ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো সেলিম রেজা বলেন, ‘চাকরি ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে।’
×