ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নড়াইলে চেয়ারম্যান হত্যায় মামলায় গ্রেফতার ৪

প্রকাশিত: ০১:১৪, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নড়াইলে চেয়ারম্যান হত্যায় মামলায় গ্রেফতার  ৪

নিজস্বসংবাদদাতা, নড়াইল ॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান পলাশকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার ইউপি মেম্বারসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে,এ হত্যাকান্ডের ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। নিহতের স্বজনেরা জানান, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ খবর সংশ্লিষ্ঠ সূত্রের। জানা যায়, নড়াইল সদর হাসপাতালে নিহত পলাশের ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার বিকেল লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের বাড়িতে চেয়ারম্যান পলাশকে দাফন করা হয়। এর আগে গত ১৫ ফেব্রæয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান পলাশকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শী ও চেয়ারম্যানের স্বজনেরা জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে লোহাগড়ার দিঘলিয়ার বাড়ি থেকে অফিসের কাজে লোহাগড়া উপজেলায় আসেন ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল আরোহী ইউপি চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশকে প্রথমে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। এ সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গী ইউপি সদস্য ফরিদ আহম্মেদ বুলুর চিৎকারে উপজেলা চত্বরের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে পলাশের মৃত্যুদেহ লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম জনকন্ঠকে জানান, চেয়ারম্যান পলাশকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইউপি মেম্বারসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন-দিঘলিয়া ইউপি মেম্বর বাটিকাবাড়ি গ্রামের মহিউদ্দিন কাজীর ছেলে ফরিদ আহম্মেদ বুলু (৪৮), কুমড়ি গ্রামের আবদুস সালাম শরীফের ছেলে শরীফ বাকি বিল্লাহ (৩৮), একই গ্রামের সোহেল হোসেনের ছেলে স্ত্রী রিজিয়া সুলতানা এবং লোহাগড়া পৌরসভার রাজুপুরের সাত্তার শেখের ছেলে মিরান শেখ (৩০)। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার দুপুরে তাদেরকে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
×