ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভালবাসা দিবসে প্রেমের রঙে সজীব শহর

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ভালবাসা দিবসে প্রেমের রঙে সজীব শহর

মনোয়ার হোসেন ॥ বসন্তের উতলা বাতাসমাখা দিনে প্রেমিক-প্রেমিকারা ঘুরে বেড়িয়েছে একে অপরের হাতটি ধরে। তাদের সঙ্গী হয়ে পথ পরিভ্রমণ করেছে গোলাপ গুচ্ছ। শহরের নানা প্রান্তে দেখা মিলেছে প্রেমময়তার সুমধুর দৃশ্য। যদিও দিনক্ষণ বেঁধে হয় না ভালবাসা। প্রকৃতির নিয়মে সহজাতভাবে হৃদয়ে জাগে ভালবাসা। তবে হৃদয়ের ভাষা প্রকাশের বিশেষ কোন দিন থাকলে ক্ষতি কী? ভালবাসার জন্য নির্দিষ্ট কোন দিন থাকলে হয়তো সেদিন বেড়ে যায় প্রেমের উত্তাপ। বুধবার ভালবাসা দিবসে চোখে পড়েছে সুন্দরের প্রতীকী সেই উত্তাপ। ভালবাসার দৃশ্যকাব্যে সজীব হয়েছে কংক্রিটের শহর ঢাকা। শাহবাগের পুষ্পবিতানের সামনে থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, চারুকলা অনুষদ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একুশের বইমেলা, বৃক্ষরাজিশোভিত রমনা পার্ক, ধানম-ি লেকসহ নগরের নানা প্রান্তে দিনভর ছড়িয়ে ছিল প্রেমের রং। গোলাপের পাশাপাশি শুভেচ্ছা কার্ডসহ নানা উপহার আদান-প্রদানে হয়েছে ভাব বিনিময়। ডিজিটাল দুনিয়ায় অনেকেই আবার সময়ের অভাবে ভালবাসার প্রকাশে বেছে নিয়েছিলেন ক্ষুদে বার্তা, ফেসবুক কিংবা টুইটার। ফাগুনের ভরদুপুরে রমনার সবুজ ঘাসে পা ডুবিয়ে চলছিল এক প্রেমিকযুগলের ভাব বিনিময়। দুজনের চোখের ভাষায় ছিল ভালবাসার প্রগাঢ় আহ্বান। মুখে ছিল প্রণয়ের সংলাপ। পরিচয়টি পেশ করে জানতে চাই তাদের প্রেমের কথা। অনিন্দ্য ও প্রীতি নামের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এই জুটির কাছে ভালবাসার ব্যাখ্যা যেন দার্শনিকের মতো। চমৎকার করে নিজেদের ভাষ্য তুলে ধরা সেই কথাগুলো ছিল এ রকমÑ আমাদের কাছে প্রেম একটি শিল্প, একটি দর্শন, একটি বিজ্ঞান এবং জীবের বেঁচে থাকার অন্যতম আকর্ষণ। দুনিয়ায় বিপরীত লিঙ্গ না থাকলে জীবনটা হয়ে উঠতো কষ্টকর ও অপরিপূর্ণ। হয়তো অনেকে বাঁচতেই চাইতো না। প্রেম জীবনকে করে তোলে বর্ণিল, বহুমাত্রিক ও পরিপূর্ণ। সে কারণেই জীবনে প্রেম ভালবাসার গুরুত্ব বেঁচে থাকার অন্যতম উপজীব্য। এই প্রেমিক যুগলের কথামতোই ভালবাসা ছাড়া পূর্ণতা পায় না মানবজীবন। অপরিপূর্ণ সে জীবন হয়ে ওঠে বিবর্ণ। ভালবাসার প্রাপ্তি বা পরিচর্যায় জীবন হয় সুন্দর ও স্বার্থক। সৃষ্টির অনাবিল আনন্দে সমান্তরাল পথে এগিয়ে চলে জীবন ও ভালবাসা। পারস্পরিক মমতার বন্ধনে হয়ে ওঠে একে-অপরের আশ্রয়। সেই বন্ধন অটুট রাখার প্রচেষ্টায় নীরার বাগান কবিতায় কবি বলে যায়Ñ যত না এঁটেল মাটি তার চেয়ে বেশি ছিল বালি/এই বালির ভিতরে ধীরে-ধীরে জীবনের ফুলকে ফোটানো/কাজটা সহজ ছিল না মোটেও/তার জন্য শ্রম চাই, চাই নিষ্ঠা, চাই ভালোবাসা/চাই প্রয়োজনমতো জল-হাওয়া ...। রাগ-অনুরাগে হৃদয়ের সেই নিভৃত অনুভবের সন্ধানে বিশ্বকবির উচ্চারণটি এমনÑ সখী, ভাবনা কাহারে বলে/সখী, যাতনা কাহারে বলে/তোমরা যে বল দিবস-রজনী ভালোবাসা ভালোবাসাÑসখী, ভালোবাসা কারে কয়...। সুরের আশ্রয়ে এভাবেই মনের গহীনে আলোড়ন তোলা বিচিত্র এ অনুভবকে উপলব্ধির চেষ্টা করেছেন অনেকেই। সেই সূত্রে গল্প-কবিতা-উপন্যাস কিংবা গানের বাণীতে অজস্রবার উচ্চারিত হয়েছে হৃদয়ঘটিত সে বোধের কথা। বুধবার নবীন বসন্ত দিনে নগরজুড়ে প্রকাশ্যে বা একান্তে প্রকাশিত হয়েছে প্রেমের সেই বার্তা। এদিন ছিল বিশ্ব ভালবাসা দিবস। ইতিহাসের পাতায় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে। রাজধানী ঢাকার পথে পথে চোখে পড়েছে দিবসটি উদ্্যাপনের সুন্দরতম দৃশ্যকল্প। প্রেমিকযুগলরা নতুন করে বলেছে অনাদিকালের পুরনো সেই কথা ‘ভালোবাসি তোমায়’। অথবা কাব্যিক ঢংয়ে বলার ধরনটি ছিল এমনÑ ভেবেছিলেম আজকে সকাল হলে/সেই কথাটি তোমায় যাব বলে/ফুলের উদাস সুবাস বেড়ায় ঘুরে/পাখির গানে আকাশ গেল পুড়ে...। এদিন দখিনা হাওয়ামাখা বসন্তে লাল গোলাপগুলো যেন ঘুরে বেড়িয়েছে দ্রুতগামী এই নগরে। তবে গোলাপগুলো নিজেরা পায়ে হেঁটে শহর পরিভ্রমণ করেনি। কোন ফুলচাষীর বাগান হয়ে পুষ্পবিতান ঘুরে প্রথমে উঠে এসেছে প্রেমের উদযাপনে মশগুল প্রিয়তমদের হাতে। এরপর ভালবাসার নিবেদন হয়ে ঠাঁই পেয়েছে প্রিয়তমাদের হাতের মুঠোয়। ভালবাসা প্রকাশের সে ফুলগুলো বসন্ত বিলাসের স্মারক এঁকে লাল বসনা প্রেয়সীদের সঙ্গী হয়ে ঘুরে বেরিয়েছে নগরের পথে-প্রান্তে। নানা দিবসের মতোই বিশেষ দিনটির সূত্র ধরে যেন একটু বেশি উচ্চারিত হয়েছে ভালবাসার কথা। অথবা বিশেষ দিবসের সুযোগে এদিনই প্রকাশিত হয়েছে প্রিয়তম কিংবা প্রিয়তমাকে মনের কথা জানান দেয়ার সুপ্ত বাসনাটি। দিবসটি আবাহনে প্রেমিক-প্রেমিকারা ভালবাসাবাসিতে পার করেছে সকাল থেকে রাত। ব্যক্ত হয়েছে বাকি জীবনে পাশে থাকার প্রত্যয়। প্রিয়জনের পাশাপাশি এদিন পরিবারের আপনজন বা প্রিয় বন্ধুটিকেও জানানো হয়েছে তার প্রতি মমত্ব বা মনের গভীরতম টানের কথাটি। ভালবাসা দিবসে শাহবাগের পুষ্পবিতানগুলোয় ছিল প্রেমরসিকদের জমজমাট আনাগোনা। ফুলটি কিনে প্রিয়জজনের হাতে তুলে দিয়ে একে অপরকে জানিয়েছে ফুলেল শুভেচ্ছা। বসন্তের দোলা লাগা ফাগুনের রংমাখা পোশাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশের দেখা মিলেছে কপোত-কপোতীদের। অধিকাংশ মেয়েদের সাজসজ্জায় লালরঙা শাড়ির সঙ্গে খোঁপায় জুড়ে গেছে রকমারি ফুল। কারও বা মাথায় চড়ে বসেছিল গোলাপ, গাঁদা, গ্ল্যাডিওলাসে গড়া ফুলের টায়রা। বাহারি পোশাক আর বসন্ত বাতাসের ছোঁয়ায় উৎফুল্ল মননে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার চারপাশের চওড়া সড়কের পাশে নিভৃতে গল্প করে কেটেছে অসংখ্য প্রেমিক-প্রেমিকার সুসময়। দিনমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা রমনা পার্কে সুন্দর সময় কাটিয়েও ঘটেছে প্রেমের উদ্্যাপন। দুপুরের পর বিকেলে প্রেমিক যুগলদের অনেকেই ভিড় জমিয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। সেখানে ফুলের বদলে বইয়ের আশ্রয়ে হয়েছে ভালবাসার বিনিময়। বসন্তের মাতাল সমীরণে ভালবাসা দিবসে পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিল অনেক প্রেমিকযুগল। হৃদয়ঘটিত গভীর উচ্ছ্বাস ধারণ করে তারা চষে বেড়িয়েছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। অন্তর উজাড় করে বলেছে আগামী দিনের প্রেম পথে চলার কথা। সেসব প্রেমিক-প্রেমিকার অন্তরের স্পন্দিত আবেগেই উদ্্যাপিত হয়েছে ভালবাসা দিবস। দিনটি যে ছিল শুধুই ভালবাসার। ‘নিভৃতে যতনে মনের মন্দিরে’ প্রিয়জনকে আরাধনার দিন। সম্পর্কের বন্ধনকে জোরালো করার এক অনন্য ক্ষণ। জোড়ায় জোড়ায় প্রেমিকযুগল অনাবিল আনন্দে ঘুরে বেরিয়েছে রাজধানীর নানা আঙিনায়। যানজটের শহরে ক্রিংক্রিং শব্দ তোলা তিন চাকার রিকশায় চেপে কেউ বা কাটিয়েছে মধুর সময়। নির্ঝঞ্ঝাট রেস্তরাঁয় বসে আনন্দময় আহারের সঙ্গে চলেছে ভাববিনিময়। নগরের বিভিন্ন কফি হাউস থেকে শুরু করে রাস্তার ধারের চায়ের দোকানে বসেও হয়েছে প্রেম বিনিময়। ভাললাগার মানুষের প্রতি মুগ্ধতার প্রকাশে বলা হয়েছে ‘আমার পরান যাহা চায়, তুমি তাই তুমি তাই গো’। পরস্পরের মুখোমুখি হয়ে রেস্তরাঁয় বসে মজা করে খাওয়া, প্রফুল্ল মনটাকে প্রসারিত করে সবুজে আবৃত উদ্যানে ঘুরে বেড়ানো, শাহবাগ থেকে প্রিয়জনের হাতে ফুল কিংবা একুশে গ্রন্থমেলা বই তুলে দেয়া, মনজুড়ানো প্রেমের বাণীযুক্ত কার্ড উপহার দেয়া, সিনেমা দেখে লম্বা সময় কাটিয়ে দেয়াÑ এমন নানা অনুষঙ্গের ভেতর দিয়ে পরিলক্ষিত হয়েছে ভালবাসা দিবসে প্রেমের উত্তাপ। অনেক সময় ভালবাসার কাছে হারিয়ে যায় দূরত্ব। দীর্ঘ পথের ব্যবধানটাও হৃদয় প্রবাহিত উত্তাপে হয়ে যায় খুব কাছের। এই দূরত্বকে হারিয়ে দেয়া এক প্রেমিকযুগলের দেখা মেলে ভালবাসা দিবসে। ঢাকায় থাকা স্মৃতি নামের তরুণীর প্রেমের টানে মানিকগঞ্জ থেকে টিএসসিতে হাজির হয়েছিল প্রান্ত নামের তরুণ। কথা প্রসঙ্গে প্রান্ত বলেন, এমনিতে তো সব সময় ভালবাসা থাকে। তবে এ জন্য বিশেষ দিবস থাকলে সেটার তাৎপর্যটা হয় ভিন্নরকম। তাই ভালবাসা দিবস উপলক্ষে ভালবাসার মানুষের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য মানিকগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছি শাহবাগে। দিনভর ঘোরাঘুরি শেষে বিকেলে গ্রন্থমেলা ঘুরে ওর হাতে তুলে দেব পছন্দের কিছু বই। সারা দিন খাওয়া-দাওয়া, একান্ত আলাপচারিতা ও ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় বিদায় নেব একে অপরের কাছ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর থেকে বাংলা একাডেমির বইমেলা পর্যন্ত প্রেমিক যুগলদের হাতে হাতে দেখা গেছে লাল গোলাপ। ভালবাসা দিবসকে ঘিরে বিকেলে বাড়তি জনসমাগম ঘটে ক্যাম্পাস এলাকায়। ক্যাম্পাসের আশপাশের রেস্তরাঁ-ক্যাফেতে দিনভর ছিল প্রেমিক-প্রেমিকার আনাগোনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, চারুকলা অনুষদ ছাড়াও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ধানম-ি লেক, চন্দ্রিমা উদ্যান, রমনা বটমূলসহ নানা স্থানে যুগলদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দেখা গেছে শহুরে নর-নারীর ভালবাসার দৃশ্যকাব্য। লাল গোলাপসহ সুগন্ধিময় রকমারি ফুল দিয়ে প্রিয়জনকে বলা হয়েছে হƒদয়ে চাপা থাকা অব্যক্ত কথাটি। সাগরের সীমাহীনতার মতো আমার উদারতা/গভীর আমার প্রেম/যতই তোমাকে দেই ততই পেয়ে যাই আমি/দু’টোই অসীমÑউইলিয়াম শেক্সপিয়রের অমর সৃষ্টি রোমিও জুলিয়েটের এই বাণীটি প্রেমপিপাসুদের ধ্বনি-প্রতিধ্বনির মাধ্যমে ভালবাসা দিবসের শেষ হলেও ভালবাসা থাকবে অমলিন ও অমরÑ রয়ে গেল সেই প্রত্যাশা। সেই সঙ্গে শুধু প্রেমিকযুগলের বাইরেও স্নেহ-মমতা ও বন্ধনে গড়া ভালবাসা ছড়িয়ে পড়কু প্রতিটি মানুষের মাঝে, প্রতিটি সম্পর্কে ভেতরে। সব শেষে বলা যায়, ভালবেসে সুখী হোক সকলে। ভালবাসা দিবসের আয়োজন ॥ ভালবাসা দিবসকে উপজীব্য করে রাজধানীতে ছিল বেশ কিছু আয়োজন। লালমাটিয়ার বেঙ্গল বইয়ে ছিল ‘ভালবাসার চিঠি : গল্প, গান ও চিঠি প্রদর্শনী’ শিরোনামের আয়োজন। ভালবাসার দিনে নিজেদের ভালবাসার গল্প বলেন তিন দম্পতিÑ শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল ও কল্পনা আনাম, ডাঃ শাকিল আখতার ও আফসানা করিম এবং স্থপতি নিশাত আরা খন্দকার ও জাফর ইকবাল। ভালবাসার গান পরিবেশন করেন শিল্পী তানজিনা করিম স্বরলিপি ও মফিজুর রহমান। ভালবাসা দিবসের সন্ধ্যায় বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয়েছে থিয়েটারওয়ালা রেপাটরির দর্শকসমাদৃত প্রেমের নাটক ‘জবর আজব ভালোবাসা’। আন্তন চেখভের নাটক ‘দ্য বিয়ার’ থেকে প্রযোজনাটির অনুবাদ করেছেন মাবারক হোসেন খান। তিনটি চরিত্রে সাজানো নাটকটি রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন সাইফ সুমন। অভিনয় করেছেন রামিজ রাজু, সঙ্গীতা চৌধুরী ও সাইফ সুমন। ভালবাসা দিবস উপলক্ষে নাট্য প্রদর্শনীর আয়োজন করে নাট্যসংগঠন স্বপ্নদল। এদিন সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় দলটির প্রশংসিত প্রযোজনা চিত্রাঙ্গদা। সন্ধ্যা ৬টা ও সাড়ে ৭টার পৃথক সময়সূচীতে একই নাটকের দুটি প্রদর্শনী হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিরায়ত সৃষ্টি ‘চিত্রাঙ্গদা’-র গবেষণাগার নাট্যরীতিতে প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোনালী, জুয়েনা, শিশির, শ্যামল, রানা, জেবু, সুমাইয়া, সামাদ, ঊষা, অর্ক, স¤্রাট, আলী, বিপুল, অনিন্দ্য, নিসর্গ, মাসুদ, সুকুমার, বিমল প্রমুখ।
×