বর্তমান সময়ে প্রশ্নফাঁস একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে গেছে। দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে প্রায় সব শ্রেণীতেই প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। এই প্রশ্নফাঁসের দায়ভার শিক্ষকদের, যারা প্রশ্নপত্র তৈরি করেন তাদের, যারা প্রশ্ন ফটোকপি করে তাদের, নাকি শিক্ষামন্ত্রীর, অথবা শিক্ষা ব্যবস্থার? এটি একটি জাতীয় প্রশ্ন। কিছুদিন আগে শিক্ষা মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন কিছু অভিভাবক। তাদের দাবিতে মনে হতে পারে যে সকল দায়ভার বুঝি শিক্ষামন্ত্রীর। কিন্তু আসলেই কি তাই? তবে তার দায়ভার যে একেবারে নেই সেটাও বলা যায় না। কারণ কেন যেন মনে হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রী কঠোর হতে পারছেন না। তাকে আরও কঠোর হতে হবে।
প্রশ্নফাঁস ঠেকানোর প্রশ্নফাঁসকারীকে ধরে দিলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দিবে। হাস্যকর ব্যাপার। টাকা পুরস্কার দিয়ে কী প্রশ্নফাঁস ঠেকানো আদৌসম্ভব!
ধরুন, দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রশ্ন ফাঁস হলে, এই প্রশ্ন শিশুদের কাছে কারা পৌঁছে দেয়। নিশ্চয়ই অভিভাবক। শিশু তো ফেসবুক বুঝে না বা ব্যবহার করে না। তার মানে অভিভাবকরাও এর জন্য দায়ী। তাই প্রশ্নফাঁস বন্ধে অভিভাবকদের সচেতন হওয়া দরকার।
ফাঁস হওয়া প্রশ্ন যদি শিশুর হাতে তুলে দেন তাহলে শিশুকে কি শিক্ষা দিচ্ছেন, সেটা কি বুঝতে পারছেন? নিজে অনৈতিক কাজ করছেন আবার শিশুদেরও অনৈতিকতা শেখাচ্ছেন। তাহলে এই শিশুদের ভবিষ্যত কি হবে একটু ভাবুন।
সত্যিকার মেধাবীদের বাছাই করার জন্য প্রশ্নফাঁস বন্ধ করা দরকার। না হলে মেধারীরা হারিয়ে যাবে। নিজের পরিশ্রম করে যখন একজন মূল্যায়ন পাবে না। তাই সে হতাশ হবে। ছিটকে পড়বে মেধারীরা। তাই মেধাবীদের মূল্যায়নের জন্য প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করুন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: