নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ নিখোজের নয় দিন পর গাইবান্ধার এক ইটভাটার টয়লেট থেকে আঁখি নামে পঞ্চম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের জনৈক আয়ান মিয়ার ইটভাটার টয়লেট থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
সে সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘাগোয়া গ্রামের আক্কাছ আলীর মেয়ে। ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিতু মিয়া (১৭) নামে দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। সে আঁখিদের প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইটভাটার শ্রমিকরা কাজ করার সময় টয়লেট থেকে পচা গন্ধ পায়। পরে টয়লেটের ঢাকনা সরিয়ে ওই মেয়েটির পা দেখতে পায় তারা। মেয়েটির গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠায়। ওইদিন রাতেই মেয়েটির বাবা আক্কাছ আলী লাশটি শনাক্ত করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তিনি বলেন, ৯দিন ধরে আঁখি নিখোঁজ ছিল।
তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করা হয়। কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি বলেন, প্রতিবেশী কিশোর তিতু মিয়া প্রায়ই তার মেয়ে আঁখিকে উত্যক্ত করতো। তিতু কারো সহায়তায় আঁখিকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মুহাম্মদ আরশেদুল হক জানান, গত ৫ ফেব্র“য়ারী আঁখি আক্তার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর সে আর বাড়িতে ফেরেনি। পরে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে সদর থানাকে অবহিত করা হয়। এরপর থেকে তার সন্ধানে পুলিশ অভিযান চালাতে থাকে। লাশ উদ্ধারের পর আঁখির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র তিতু মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তাকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
