ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নানা আয়োজনে পালিত স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস

প্রকাশিত: ০১:৩৮, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নানা আয়োজনে পালিত স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নানা আয়োজনে পালিত হলো স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস। বুধবার রাজধানীতে মিলিত হয়েছিলেন এক সময়ের সকল ছাত্রনেতারা। তারা জাতীয়ভাবে দিবসটি পালনের দাবি জানান। এরপর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জালী অর্পন করেন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নেতারা। বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল সংলগ্ন শহীদ বেদিতে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সহ পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানানো শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আক্তারুজ্জামান ও আনোয়ারুল হক। তারা শহীদের রক্ত যেন বৃথা না যায় সে প্রত্যয়ে কাজ করার জন্য দেশের রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবীদ ও সচেতন মানুষের প্রতি আহাবান জানান। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতা শফী আহমেদ জানান, ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের জন্য ভালোবাসার ফুল ফোটেনি। ফুটেছিল দিপালী সাহা, জাফর, জয়নাল, মোজাম্মেল, কাঞ্চনের বুকের তপ্ত রক্তের রঞ্জিত হওয়া রাজপথের রক্তাক্ত গোলাপ। সেদিন স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদের সচিবালয় অভিমুখে প্রতিরোধ মিছিল হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, তিন দফা দাবির ভিত্তিতে সেই প্রতিরোধের ডাক দেয়া হয়েছিল। মজিদ খানের গণবিরোধী শিক্ষানীতি বাতিল, সকল ছাত্র ও রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তিদান ও সামরিক শাসন প্রত্যাহার করে গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন, ‘এ তিন দফা দাবিতে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ ১১ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সমাবেশ ও সচিবালয় অভিমুখে মিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ১১ জানুয়ারি সকালে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী যখন বটতলায় সমবেত হয়েছে তখন কেন্দ্রীয় নেতারা আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক নেতা ছিলাম তাদের ঘরোয়াভাবে ডেকে বললেন, অনিবার্য কারণবশত আজকের কর্মসূচী পালন করা যাবে না। বর্তমান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শফী আহমেদ বলেন, তখন ক্ষুব্ধ হয়ে যখন আমরা প্রশ্ন করলাম, কেন? কী সেই অনিবার্য কারণ? নেতারা একান্তে বললেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন প্রস্তুত নয়। সেদিনই বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের হাতে বটতলায় আমাদেরই পরম পূজনীয় নেতারা লাঞ্ছিত হলেন। পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হলো ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেই ১৪ ফেব্রুয়ারিতে বটতলায় সমবেত হয়েছিল জীবন বাজি রেখে সামরিক স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা।’ তিনি বলেন, ‘শত শত ছাত্রনেতা রাজপথে সেদিন শহীদ হয়েছিলেন। সেই শহীদের আত্মদান যেন বৃথা না যায় আজকের দিনে এই হোক আমাদের প্রত্যয়। ঢাকসুর সাবেক ভিপি আক্তারুজ্জামান, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক, ঢাকসু জিএস মোস্তাক আহমেদ, (জাসদ) ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হক প্রধান এমপি, সাধারণ সম্পাদক শফী আহমেদ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ, ছাত্র ইউনিয়ন তো আব্দুল্লাহ কাফি রতন, সাবেক ছাত্র নেতা রুবি ইসলাম, জায়েদ ইকবাল খানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×