ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইসরাইলি সেনাকে চড়, সেই কিশোরীর বিচার শুরু

প্রকাশিত: ২০:১৭, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অনলাইন ডেস্ক ॥ ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক ফিলিস্তিনি কিশোরী আহেদ তামিমি ও তার মাকে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সেনাকে অপমান এবং সহিংসতার উসকানি দেওয়াসহ ১২টি অভিযোগের মুখোমখি হতে হচ্ছে। দেশটির এক সেনাকে চড় মেরে আলোচনায় আসে এই কিশোরী। এবার শুরু হয়েছে তাদের বিচার কার্যক্রম। ইসরাইলের সামরিক আদালতে চলছে রুদ্ধদ্বার বিচার কার্যক্রম। মঙ্গলবার সকালে তাদের বিচার শুরু হলে আদালতে গণমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।ইসরাইলের অফার ডিটেনশন সেন্টারে আদালত বসলে মামলার শুনানির সময় কেবল তাদের পরিবারের এক সদস্যকে ঢুকতে দেয়া হয়। তামিমির আইনজীবী গাবি লাসকি আদালতের কাছে উন্মুক্ত বিচারের আবেদন করলেও বিচারক সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেন। ফিলিস্তিনিরা তামিমির দুঃসাহসকে ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ দেখছে। অথচ বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে তার দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ডও হতে পারে। অপর দিকে ইসরাইলিদের ভাষ্য, জনপ্রিয়তা পেতে তামিমি সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে। তামিমি তার পরিবারের সঙ্গে অধিকৃত পশ্চিমতীরের ফিলিস্তিন গ্রাম নবি সালেহতে বসবাস করেন। গত বছর ১৫ ডিসেম্বর মায়ের সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার পথে ইসরাইলি সেনারা তাদের পথরোধ করেন। দুপক্ষের বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তামিমি এক সেনাকে প্রথমে লাথি মারেন এবং পরে গালে সপাটে চড় মেরে বসেন। দ্বিতীয় আরেক সেনাকেও সজোরে একাধিকবার ঘুষি মারেন তিনি। তার মা নারিমান তামিমি পুরো ঘটনাটি ভিডিও করেন এবং ফেসবুক পাতায় পোস্ট করেন। সঙ্গে সঙ্গেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনার কয়েক দিন পর এক রাতে অভিযান চালিয়ে তামিমিকে গ্রেফতার করেন ইসরাইলি সেনারা। তার মা এবং ভিডিওতে থাকা তার এক কাজিনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
×