ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের পাশে থাকবে ইইউ’

প্রকাশিত: ০২:৫৭, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের পাশে থাকবে ইইউ’

সংসদ রিপোর্টার ॥ মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট বাংলাদেশের পাশে থাকবে। জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে এমনটা জানিয়েছেন ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট-এর দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কিত সংসদীয় প্রতিনিধি দলের নেতা জেন লিমবার্ট। জাতীয় সংসদ ভবনে মঙ্গলবার বিকেলে স্পীকারের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এ আশ্বাস দেন। এ সময় স্পীকার রোহিঙ্গা সমস্যার ব্যাপারে বিশ্ব জনমত বৃদ্ধিতে ইইউ-এর দেশগুলোর জোরালো ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সাক্ষাতকালে তারা রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র, সংসদ সচিবালয়ের কার্যক্রম, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা ও তৈরি পোষাক শিল্প নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন। ইইউ প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে স্পীকার বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সময়ে সীমান্ত খুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্মোচন করেছেন মানবতার নব দুয়ার। স্থাপন করেছেন মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৫ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। ওই ৫ দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতেই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিনিধি দলের নেতা জেন লিমবার্ট রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবর্তনে ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে স্পীকারকে আশ্বস্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নারী ক্ষমতায়নেরও প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে ইইউ ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ভবিষতে আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এর আগে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ আয়োজিত সংবিধান বিষয়ক এক সেশনে বক্তৃতাকালে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান অন্যতম ও অনন্য। উত্তরাধিকার সূত্রে নয়, বরং লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ সংবিধান। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হওয়ার অব্যবহিত পরেই অতি স্বল্প সময়ে বঙ্গবন্ধু ৪ নবেম্বর ১৯৭২ এ জাতিকে উপহার দেন এ অনন্য সংবিধান। এ সময় সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগের কার্যাবলীর মধ্যে সমন্বয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করে স্পীকার বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সংবিধান জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো সংরক্ষণ করে ও নিশ্চয়তা প্রদান করে। বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদ- এই চারটি মূলনীতিকে সমুন্নত রাখা হয়েছে- যার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্খিত সোনার বাংলার ঠিকানায়।
×