ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুক্তজীবনে ফিরে যাওয়া হলো না ॥ রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০২:২৮, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মুক্তজীবনে ফিরে যাওয়া হলো না ॥ রাষ্ট্রপতি

সংসদ রিপোর্টার ॥ সংসদে আসবেন আর ৬ষ্ঠ তলার সাংবাদিক লাউঞ্জে আসবেন না এমনটি কোন দিন তার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দায়িত্ব পালন কালে ঘটেনি। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সাংবাদিক লাঞ্জে রাষ্ট্রপতি আসবেন এমন বার্তা দিয়েছিলেন তাঁর প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীনসহ নিরাপত্তা বাহিনী। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বর্তমানে রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনীত প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চলছে। মাগরিবের বিরতীর আগে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সরাসরি সাংবাদিক লাউঞ্জে এসে সংসদ বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের খোঁজ-খবর নিলেন। ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে করমর্দন করে কুশলাদি জানতে চান। সদা হাস্যজ্বল ও হাস্যরসে পটু রাষ্ট্রপতি সবার সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য গল্পে মেতে উঠেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর নিজের ব্যক্তি জীবনের কথাও তুলে ধরলেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। আলাপচারিতায় উঠে আসে রাষ্ট্রপতির আত্মজীবনী লেখার বিষয়টি। কতদুর লেখা হলো জানতে চাইলে রাষ্ট্রপতি বলেন, আত্মজীবনী লেখা শুরু করেছি, অনেক দূর এগিয়েছেন। তবে রাষ্ট্রীয় কাজের চাপে আত্মজীবনী লেখার কাজে খুব বেশি সময় দিতে না পারার কথাও তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, দ্রুতই আত্মজীবনী লেখা শেষ করে ফেলবো। পুনরায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে আবদুল হামিদ বলেন, ভেবেছিলাম ২৩ এপ্রিলের (রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদের শেষ দিন) পর আবার মুক্তজীবন ফিরে যাবো। কিন্তু সেটা তো আর হলো না। এ সময় রাষ্ট্রপতি সাংবাদিক লাউঞ্জের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতেও ভোলেননি। সাংবাদিক লাউঞ্জে আসার পর বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সভাপতি ও জনকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি উত্তম চক্রবর্তী রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। এ সময় দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় সংগঠনের পক্ষ থেকে আবদুল হামিদকে অভিনন্দনও জানানো হয়। এসময় পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট এসোশিয়েশনের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আগামি ২৩ এপ্রিলের পর দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে পারেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। হাস্যরসের মাধ্যমে ঋতুরাজ বসন্ত নিয়েও স্মৃতিচারণ করেন রাষ্ট্রপতি। প্রায় ৩০ মিনিট সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রাণখোলা আড্ডা দিয়ে ফিরে যান সংসদে তাঁর রাষ্ট্রপতির অফিসে।
×