ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে লাইসেন্স প্রাপ্ত কোন মাল্টি লেভেল কোম্পানি নেই ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:৪৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

দেশে লাইসেন্স প্রাপ্ত কোন মাল্টি লেভেল কোম্পানি নেই ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ বর্তমানে দেশে লাইসেন্স প্রাপ্ত কোন মাল্টি লেভেল কোম্পানী নেই। এমএলএম ব্যবসার নামে জনগণকে কেউ যাতে প্রতারিত করতে না পারে সেই লক্ষ্যে কঠোর আইন রয়েছে। আইন অমান্য করে কেউ এমএলএস ব্যবসা পরিচালনা করলে তাকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদন্ড এবং ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড প্রদানের বিধান রয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। মন্ত্রী জানান, পাঁচটি এমএলএম কোম্পানিকে রেজিস্টার, জয়েন্ট স্টক কোম্পানী ও ফার্মসমূহের পরিদফতর কর্তৃক লাইনেন্স প্রদান করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তদন্তকালে প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় উক্ত ৫টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স আর নবায়ন করা হয়নি। তিনি জানান, আইনভঙ্গ করে অবৈধভাবে কেউ এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা করলে তার বিরুদ্ধে উক্ত আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হতে পত্র প্রদান করা হয়েছে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সরকার থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ঘাটতির অবসানে ও হ্রাস করার লক্ষ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার দূরীকরণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য অসমতা দূরীকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিএসটিআই ও ভারতের বিআইএস’র সঙ্গে একটি এমওইউ স্বাক্ষর করা হয়েছে। সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, রফতানি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৫২টি দেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা এবং পৃথিবীর সকল দেশেই কোটামুক্ত বাজারের সুবিধা পেয়ে থাকে। এছাড়া ইইউভূক্ত সকল দেশ হতে ইবিএ স্কীমের আওতায় বাংলাদেশী সকল পণ্যের (অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যতিত) শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা আদায় করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সুবিধা আরও বৃদ্ধি করতে সরকার বিভিন্ন দেশে উচ্চ পর্যায়ের ডেলিগেশন প্রেরণ অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এই সুবিধা বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটানোর জন্য চা রফতানি পূর্বের তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানো ও রফতানি বৃদ্ধির জন্য উন্নয়নের পথনকশা অনুযায়ী ২০২৫ সাল নাগাদ ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংসদ সদস্য এম এ মালেকের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে, দেশে বছরে প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন পরিশোধিত চিনির চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চিনির উৎপাদন হয়েছিল ৫৯ হাজার ৯৮৪ মেট্রিক টন। দেশে চিনি চাহিদার মাত্র ৪ শতাংশ উৎপাদিত হয়। সেক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে চিনি আমদানির কোন বিকল্প নেই।
×