ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাকৃবিতে কৃষিবিদ দিবসে বর্ণাঢ্য আয়োজন

প্রকাশিত: ০০:১০, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বাকৃবিতে কৃষিবিদ দিবসে বর্ণাঢ্য আয়োজন

বাকৃবি সংবাদদাতা ॥ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনে মঙ্গলবার কৃষিবিদ দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী, আলোচনা সভা ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাকৃবি শাখা। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালীর উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আবদুল মান্নান। র্যালী শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্ত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় মিলনায়তনে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাকৃবি শাখার সভাপতি কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আবদুল মান্নান। সভার মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেআইবির যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ.কে. এম. জাকির হোসেন। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাকৃবি থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার ১৩৭ জন গ্রাজুয়েট বের হয়েছেন এবং ১০ হাজার ১৮৫ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩২ টি প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং ১৪১ টি প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের মোট জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৪.২২%। এসবই সম্ভব হয়েছে কৃষিবিদদের নিরলস পরিশ্রমের জন্য। এছাড়াও আলোচনা সভায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর। তিনি স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল উদ্ভাবন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করেন। পরে তিনি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীতে উন্নতি করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বক্তারা আরোও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ছিল একটি তলাবিহীন ঝুড়ির মতো। দেশের ওই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কৃষিবিদদের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তাই ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা প্রদান করেন। ২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের (কেআইবি) এক সাধারণ সভায় ১৩ ফেব্রুয়ারিকে কৃষিবিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তাই ২০১১ সাল থেকে প্রতিবছরই ওই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
×