নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের নুরপুর গ্রামে প্রেমিকার ডাকে তার সাথে দেখা করতে যাওয়ায় প্রেমিক মেধাবী ছাত্র সোহান মন্ডলকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা না নিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধেই মটর সাইকেল চুরির মামলা নিয়েছে পুলিশ। সোহানের পরিবারের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সোহানের মা জাহানারা বেগম লিখিত বক্তব্যে উল্লে¬খ করেন, প্রভাবশালী ইউপি সদস্য খায়রুল ইসলামের মেয়ে কেয়ামনির দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে সোহানের। সে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সরকারি গ্রাফিক্স আর্টস ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় সেমিস্টারের মেধাবী ছাত্র। সোহান ছুটিতে বাড়ি এলে গত ৭ ফেব্র“য়ারি প্রেমিকা কেয়ামনি তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে বাড়ি নিয়ে যায়। সোহান ও কেয়ামনির বাড়ির পাশের রাস্তায় কথা বলার সময় কেয়ামনির পিতা খায়রুল ইসলাম অকথ্য ভাষায় গালাগালাজ করে। এতে সোহান প্রতিবাদ করলে খায়রুল ইসলাম ও তার লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেদম মারপিট করে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। তার আর্ত চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করে। পরে স্থানীয় লোকজন সোহানকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্সে ভর্তি করে দেয়।
এ ঘটনায় পলাশবাড়ি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। কিন্তু গত ৯ ফেব্র“য়ারি ইউপি সদস্য খায়রুল ইসলাম স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজসে পুলিশকে ম্যানেজ করে সোহানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মটর সাইকেল চুরির মামলা দায়ের করে। এব্যাপারে বাধ্য হয়ে সোহানের মা জাহানারা বেগম বাদি হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়। মামলা দায়েরের খবর শুনে খায়রুল ইসলাম নানা ধরণের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। ফলে সোহানের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সোহানের বাবা মিন্টু মন্ডল, বড় ভাই জাফিরুল ইসলাম মন্ডল, ভাবী সালমা বেগম, নানী লাইলী বেগমসহ শরিফুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম, মো. শামীম মিয়া প্রমুখ।
