ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুচির সঙ্গে বৈঠক

রাখাইনে সহিংসতার স্বাধীন তদন্ত চেয়েছেন বরিস জনসন

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 রাখাইনে সহিংসতার স্বাধীন তদন্ত চেয়েছেন বরিস জনসন

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাখাইনে সহিংসতার ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। রবিবার নেপিডোয় মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর আউং সান সুচির সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফেরানোর জন্য রাখাইনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দিয়েছেন। এদিকে রাখাইনের একটি গ্রামে আটক রোহিঙ্গাদের হত্যার অভিযোগে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর ১০ সদস্য ও ৬ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গা সঙ্কট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর আউং সান সুচির সঙ্গে রবিবার নেপিডোয় বৈঠকে বসেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। বৈঠকের বিষয়ে বরিস জনসন টুইট বার্তায় বলেছেন, আউং সান সুচির সঙ্গে বৈঠকে রাখাইন রাজ্যে যে সহিংসতা ঘটেছে, সেই ঘটনার জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সুচির সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গারা যেন দ্রুত ও নিরাপদে রাখাইনে ফিরে যেতে পারে, সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ও মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর আউং সান সুচির বৈঠকের বিষয়ে রবিবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, বৈঠকে সুচি ও জনসন রাখাইন রাজ্যের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে খোলামেলা ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করেন। তারা দু’জনে যেসব রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কথা বলেছেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন। শনিবার তিনি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে মিয়ানমার যান। মিয়ানমারের নেত্রী আউং সান সুচির সঙ্গে নেপিডোয় তিনি রবিবার বৈঠকে বসেন। বরিস জনসন রবিবার সন্ধ্যায় মিয়ানমার থেকে থাইল্যান্ড সফরে গেছেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রেউত চার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। ঢাকায় আসার পরে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাকে একটি মানবিক সঙ্কট বলে জানিয়েছেন। এই সঙ্কট সমাধানে সবাই মিলে কীভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর আউং সান সুচি ও অন্যান্য আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছিলেন বরিস জনসন।
×