ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৫৩ বার সময় নিলেও সাগর-রুনী হত্যার তদন্ত রিপোর্ট হয়নি

প্রকাশিত: ০৫:১১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

৫৩ বার সময় নিলেও সাগর-রুনী হত্যার তদন্ত রিপোর্ট হয়নি

শংকর কুমার দে ॥ চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যাকান্ডের গত রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সাল ছয় বছর পূর্তি হলো। কিন্তু এই হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত হলো না আজও। বরং বিগত ৬ বছরে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার সময় নেয়া হয়েছে ৫৩ বার। তারপরও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ১৪৫ জনকে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৮ জনকে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জামিনে মুক্ত আছেন ৩ জন। হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য এখন আবার সন্দেহভাজনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে ১৩০ জনের। সাংবাদিক দম্পতির মৃতদেহ কবর থেকে তুলে পুনঃ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়েছে বার বার। সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে মিছিল, মিটিং, প্রতিবাদসহ নানা ধরনের কর্মসূচী পালন করেছেন সাংবাদিক সমাজ। এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে বার বার। রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যাকান্ডের তদন্ত প্রতিবেদন শীঘ্রই প্রকাশ হবে। র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব) এই হত্যাকান্ডের তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ হলে র‌্যাব শীঘ্রই প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। রবিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টের দিক-নির্দেশনায় র‌্যাব এই হত্যাকান্ডে তদন্ত করছে। তদন্তের জন্য র‌্যাব ডিএনএ নিয়ে কাজ করছে। আমরা মনেকরি তারা শীঘ্রই আমাদের আলোকিত করতে পারবে। কত দিন লাগতে পারে এ প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারছি না। এই হত্যাকান্ডের পর এতদিনেও হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন ব্যর্থতা নেই। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ৫৮/এ/২, রশিদ লজ এ্যাপার্টমেন্টের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়-এ ঘটনায় রুনীর ভাই নওশের আলম রোমান শেরে বাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে শুধু আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ৫৩ বার সময়ই নিয়েছেন, আরও কত বার সময় নিতে হবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ। এই মুহূর্তে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। সংবাদিক দম্পতি হত্যাকান্ডের ছয় বছর পূর্তি উপলক্ষ্যকে সামনে রেখে হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক দম্পতির পরিবার, সাংবাদিক সংগঠন, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলই। সাংবাদিক দম্পতিসহ হত্যাকান্ডের পর থেকে যেভাবে তদন্তের ধারাবাহিকতা চলে আসছে তাতে কবে নাগাদ এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটিত হবে তার নিশ্চয়তা কেউই দিতে পারছেন না। সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকান্ডের তদন্ত কি অনন্তকাল ধরে চলতে থেকে কালক্ষেপণের পর্যায়ে কৃষ্ণগহ্বরে চলে যায় কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন? ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনীর হত্যাকান্ডের পর ঘটনাস্থলে এসে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তদন্ত শেষ করে খুনীদের গ্রেফতার করা হবে বলে ঘোষণা দেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। এই হত্যাকা-ের তদন্ত শেষ করার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ৭২ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। এই ৪৮ ঘণ্টার সময় এখন ৭২ মাসে পৌঁছানোর পরও তদন্ত যেই তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে, রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি। এর দুই দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদর দফতরের সাংবাদিক সম্মেলনে সাগর-রুনী হত্যাকান্ডের ‘প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার। হত্যাকান্ডের ছয় বছর পর সেই প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতিও হারিয়ে গেছে। ২০১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই মহীউদ্দীন খান আলমগীর ১০ অক্টোবরের মধ্যে সাগর-রুনীর হত্যারহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন। সেই আশায়ও গুড়ে বালি। প্রসঙ্গত ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনীর ক্ষতবিক্ষত লাশ মেলে। সাগর তখন মাছরাঙা টিভিতে আর রুনী এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় রুনীর ভাই নওশের আলম রোমান শেরে বাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ ছয় বছরে ৫৩ বার সময় নিয়েও আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি তদন্তকাারী সংস্থা র‌্যাব। এই হত্যাকা-ের মামলায় ৮ জনকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে মিন্টু, কামরুল হাসান, বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম আবু সাঈদ ও এনাম আহম্মেদ কারাগারে। পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। তদন্তের একপর্যায়ে তদন্ত সংস্থা ডিবি উচ্চ আদালতে ব্যর্থতা স্বীকার করলে আদালত মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয় র‌্যাবকে। বতর্মানে মামলাটির তদন্ত করছেন র‌্যাব। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, র‌্যাব তদন্তের দায়িত্ব নেয়ার পর আদালতের নির্দেশে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল হত্যাকান্ডের ৭৫ দিন পর কবর থেকে লাশ তুলে ভিসেরা পরীক্ষা করা হয়। ভিসেরা রিপোর্টে এই সাংবাদিক দম্পতিকে হত্যার আগে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এমন আলামতও পাওয়া যায়নি। সাগর-রুনী ও হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত ছুরি ও হাত-পা বাঁধার রশিসহ বিভিন্ন আলামত পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফরেনসিক গবেষণাগারে। এসব আলামত থেকে পৃথক দু’টি পূর্ণাঙ্গ ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়ার কথাও ঘোষণা দেয় র‌্যাব। পরবর্তীতে এসব নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্য সন্দেহভাজন আরও ২১ জনের ডিএনএ নমুনাও পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রে। সেই রিপোর্ট হাতে পেয়েছে র‌্যাব। কিন্তু হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন হয়নি। কারও সঙ্গে সেই ডিএনএ নমুনা মিলেনি। র‌্যাব কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো পরীক্ষার প্রতিবেদনগুলো নিয়ে র‌্যাব কাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত বলার মতো কোন অগ্রগতি নেই। তদন্তের শুরুতে হত্যাকান্ডের পর থেকেই গ্রিলকাটা চোরসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে তদন্ত করে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থা ডিবি। ডিবি পুলিশ এক ছিঁচকে চোরকে নিয়ে রাজাবাজারে সাগর- রুনীর বাসায় গিয়ে জানালা দিয়ে ভেতরে প্রবেশও করায়। কিন্তু পরে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখির কারণে তা নিয়ে আর এগোয়নি পুলিশ। ঘটনার বাসার দুই দারোয়ান রুদ্র পলাশ ও এনামুলকে নিয়ে রহস্য তৈরি হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের ছেড়ে দিলে এনামুল পালিয়ে যায়। পরে এনামুলকে ধরিয়ে দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু এনামুলকে র‌্যাব গ্রেফতার করেও কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোন তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি। একপর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তা সাগর-রুনী হত্যা মামলায় পাঁচ ডাকাতকে গ্রেফতার দেখায়। তারা হলো- রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, সাঈদ, মিন্টু ও কামরুল হাসান ওরফে অরুণ। এই পাঁচজন মহাখালীর ডাঃ নিতাই হত্যাকান্ডের আসামি। তাদেরও কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোন তথ্য পায়নি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তাদের কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দেননি। এ ঘটনায় বর্তমানে দুই দারোয়ানসহ সাতজন কারাবন্দী রয়েছে। সাগর-রুনী হত্যাকা-ে সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের পারিবারিক বন্ধু তানভীর নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার কাছ থেকে কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি র‌্যাব। বর্তমানে তানভীর জামিনে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রায় প্রতি মাসেই একবার তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। এ পর্যন্ত আদালতে ৫৩ বার প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তবে প্রতিটি প্রতিবেদনের ভাষাই এক। তাতে রহস্য উদ্ঘাটনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে বলা হয়েছে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যাকা-ের বাদী নিহত রুনীর ভাই নওশের আলম রোমান গনমাধ্যমকে বলেন, তদন্তে কোন অগ্রগতির খবর জানা নেই, তদন্তকারীরাও জানান না। অন্য তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত দেয়ার কথা বলেছেন বাদী। রহস্য উদ্ঘাটনের আশা ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষায় বুক বেধে আছেন তিনি, একদিন হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন হবেই। ন্যায় বিচার হবে। সাগর-রুনী দম্পতির একমাত্র সন্তান মেঘ যতই বড় হচ্ছে তত বাবা-মাকে হারানোর কষ্ট অনুভব করতে পারছে। সাংবাদিক সাগর-রুনীর পরিবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, সরকার কত খুনের সুরাহা করছে, আর এটা করতে পারে না? আমরা কি এ হত্যার বিচার পাব না? পারিবারিক দ্বন্দ্ব, অফিসিয়াল যে কারণেই আমার ছেলে আর ছেলের বউ খুন হোক, সেই কারণটি জানতে চাই। র‌্যাবের তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেছেন, তদন্ত চলছে। বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের তদন্ত আগাচ্ছে। আমরা আশাবাদী এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হবে। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যাকা-ের নীলনক্সা নির্মাণের সঙ্গে কোন একক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত নয়। পুরো ঘটনাটিই পূর্ব পরিকল্পিত। এই ঘটনার সঙ্গে একাধিক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী জড়িত যারা খুবই প্রভাবশালী। কালক্ষেপণের সুযোগ নিয়ে খুনীরা আড়াল হয়ে যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছে, যার কারণে তাদের হত্যাকান্ডের এতটা দিন পরও নেপথ্যের নায়কদের চিহ্নিত করতে কালক্ষেপণ ঘটছে। মামলার তদন্তে প্রতীয়মান হচ্ছে, পুলিশের স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে ‘ধীরে চলো নীতি’। সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনী হত্যাকান্ড তদন্তের প্রতিবেদনে মনে করিয়ে দেয়, ‘আপ-টু-ডেট’ ফিডব্যাক পুলিশের হাতে। হত্যাকান্ডে খুনী কারা তাও শনাক্ত করা থাকতে পারে। হত্যাকান্ডের মোটিভ কি তাও পুলিশের জানা। তবে হুকুমের আসামি ও প্রকৃত খুনীদের নাম চার্জশীটে স্থান পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। কারণ সাগর-রুনী হত্যা মামলায় তদন্তকারী সংস্থার হাতে যে ‘ফাইন্ডিংস’ আছে তার উপর চার্জশীট দিলে সাংবাদিক সমাজ কিভাবে নেবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনায় তদন্তকারী কর্তৃপক্ষকে দ্বিধা দ্বন্দ্বে ফেলে দিয়ে থাকতে পারে। সম্ভবত সাগর-রুনী হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনের কারণ সেখানেও অন্তর্নিহিত থাকতে পারে বলে অপরাধ বিশেষজ্ঞদের দাবি।
×