ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেদার আইনজীবীদের মন্তব্য

এখনই খালেদার দন্ড স্থগিতের আবেদন নয়

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

এখনই খালেদার দন্ড স্থগিতের আবেদন নয়

বিকাশ দত্ত ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে দন্ড প্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীর (ডিভিশন) বন্দীর মর্যাদা পেলেন। আবার বিচারিক আদালতের রায়ের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে জামিনও পেতে পারেন। এমনটিই আভাস দিয়েছেন দেশের আইন বিশেষজ্ঞগণ। রবিবার জেল কোড অনুয়ায়ী প্রথম শ্রেণীর (ডিভিশন) বন্দীর মর্যাদা দিয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী এখন পর্যন্ত রায়ের সার্টিফাইড কপি পান নি। পেলেই তারা দ্রুত জামিনের জন্য আবেদন করবেন। তবে তারা এখনই দন্ড স্থগিতের আবেদন করবেন না। দুদক ও রায়ের সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করেছে। দুদক খালেদার জামিনের বিরোধিতা করবে বলে জানা গেছে। রায়ের কপি পেলেই তারাও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এদিকে জামিন ও পরবর্তী নির্বাচন করতে পারবে কিনা এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীসহ আইনজীবীগণ বলেছেন বিচারিক আদালতের দন্ডের বিরুদ্ধে জামিনের আবেদন করতেই পারে। আর জামিনের বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের ওপর। তবে সচরাচর আসামি এ ধরনের দন্ডে জামিন পেয়ে থাকেন। নির্বাচনের বিষয়ে আইনজীবীদের মধ্যে ভিন্নমত পোষণ করলেও উচ্চ আদালত এ মামলা চলাকালীন পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে যেতে পারবেন বলে জানা গেছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে বিএনপির সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৫ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের সবার ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন-মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী (পলাতক) এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান (পলাতক)। একইসঙ্গে তাদের সবার ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য এ দিন নির্ধারণ করা হয়। এর পর দন্ড ও কারাগারে ডিভিশন নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীগণ নানা কর্মসূচী ঘোষণা করে। তার অংশ হিসেবে রবিবারেও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রীমকোর্টে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদও রায়কে ঘিরে বর্তমান পরিস্থিতির ওপর এক সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি বলেন, ‘খালেদা জিয়াসহ যারা দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন, এর মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন আইনের প্রক্রিয়ায় তিনি আপীল করবেন। আদালত বিবেচনা করবেন যে, তাকে জামিন দেয়া যায় কিনা এবং তিনি আইনি প্রত্রিয়ার মাধ্যমে জামিন পেতে পারেন।’ ডিভিশন দেয়াকে নিয়ে ধূম্ররজাল সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডিভিশন তার প্রাপ্য। সে প্রাপ্যতা অনুযায়ী পরিপূর্ণভাবে তাকে ডিভিশন দেয়া হয়েছে। সুতরাং নতুন করে ধূম্রজাল ষড়যন্ত্র সৃষ্টির অবকাশ নেই।’ সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আদালত সাজা দিয়েছেন। এখানে সরকারের করার কিছু নেই। সাধারণত কোনো মামলায় পাঁচ বছরের যদি সাজা হয় সেই মামলায় উচ্চ আদালত জামিন দিয়ে থাকেন। সে হিসেবে খালেদা জিয়াও জামিন পাবেন।’ অন্যদিকে আরেক সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ বলেন, ‘সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নৈতিক স্খলনজনিত কারণে অভিযুক্ত হয়ে কারও দুই বছরের বেশি সাজা হলে, সাজা খাটার পরবর্তী পাঁচ বছর তিনি নির্বাচনের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। এটাই সংবিধান। ‘তবে নিম্ন আদালতে সাজা হলেও হাইকোর্ট বিভাগ রয়েছে, আপীল বিভাগ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত গিয়ে যদি নিম্ন আদালতের সাজা বহাল রয়ে যায় তাহলে তিনি সাজা খাটার পরবর্তী পাঁচ বছর নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য হবেন।’ তবে নিম্ন আদালতে সাজা হওয়ার পর হাইকোর্টে আপীল করে যদি জামিন ও সাজা স্থগিতাদেশ পায় তাহলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ আপীল বিভাগে যদি সাজা বহাল থাকে তাহলে নির্বাচিত হলেও সংসদ সদস্য পদে অযোগ্য হয়ে যাবেন। কাউকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচন করার ইচ্ছা সরকারের নেই : আইনমন্ত্রী ॥ আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কাউকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচন করার ইচ্ছা সরকারের নেই কিন্তু আইনের কারণে কেউ যদি নির্বাচনের বাইরে থাকে সেখানে সরকারের কিছু করার নেই। রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ২২তম জুডিসিয়াল এ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে বাইরে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে যেতে পারবে কি পারবে না এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের দুই রকম রায় আছে। তাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন সুপ্রীমকোর্ট ও নির্বাচন কমিশন। এখানে সরকারের কোন ভূমিকা নেই। আদালতে খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তিনি এখন হাইকোর্টে আপীল করতে পারেন। আপীলের পর চাইলে জামিনের আবেদন করতে পারেন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। সরকারের যেখানে কিছু করণীয় নেই, সেখানে সরকারকে কিছু করতে হবে, আর সরকার কিছু না করলেই হুমকি-ধামকি দিবে। এসব দিলে কিন্ত সরকার ভীত হবে না। এখানে সংঘাতের কোন প্রশ্ন নেই। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আইন সকলের জন্য সমান, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। এসব ব্যাপারে কোন হুমকি-ধামকিতে আইনের কোন ব্যত্যয় ঘটবে না। এটাই হচ্ছে পরিষ্কার কথা। প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দেয়ার নির্দেশ ॥ দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে জেলকোড অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীর (ডিভিশন) বন্দীর মর্যাদা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। শুনানিতে খালেদাকে ডিভিশন দেয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, ডিভিশন পাওয়ার তিনটি বৈশিষ্ট্যই উনি (খালেদা) ধারণ করেন। একটি হচ্ছে- তিনি পার্টি প্রধান; দ্বিতীয় হলো- তিনি বেশ কয়েকবার নির্বাচিত এমপি এবং তিনি তিনবার এ দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনটি বিবেচনাতেই তিনি প্রথম শ্রেণী পান। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও সানাউল্লাহ মিয়া। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ডিভিশনের চেয়েও বেশি মর্যাদা পাচ্ছেন। তার পক্ষে ডিভিশন আবেদনটি মঞ্জুর করা হলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। ধূম্রজাল সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে একটি প্রতিক্রিয়াশীল মহল ধূম্রজাল সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। রবিবার দুপুর দেড়টায় সুপ্রীমকোর্ট বার অডিটরিয়ামে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন সংগঠনের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, যে জাতি যতবেশি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে সে জাতি তত উন্নত। সংবিধান অনুয়ায়ী দেশের নাগরিক সবাই এক সমান সুযোগ সুবিধা পাবে। সে যেই হোক না কেন। এখানে ধনী-গরিব, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতি কাউকে নিয়ে ভেদাভেদ করা যাবে না। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। ফজলে নূর তাপস বলেন, দেশে ২০১৩ এবং ২০১৪ সালের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে (বিএনপি) তারা। দুদকের মামলার কাগজপত্র অনুযায়ী এটা পরিষ্কার। তারা দুর্নীতি করেছে। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ যারা এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা আইন অনুযায়ী আপীল করতে পারবেন। আইনগতভাবে তারা মোকাবেলা করতে পারবেন। তাপস আশঙ্কা করে বলেন, আশঙ্কা করছি ২০১৪ সালে দেশে যে অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল সে রকম কিছু করার চেষ্টা করছে তারা। তিনি বলেন, রায় নিয়ে যারা যড়যন্ত্র করছেন, তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি করে দিতে চায় আপনারা যড়যন্ত্র করবেন না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত মজুমদার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, আব্দুল মতিন খসরু, আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম ও নূরুল ইসলাম সুজন এমপি প্রমুখ। রায় স্থগিতের আবেদন নয় ॥ খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রীমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, রায়ের সত্যায়িত অনুলিপির জন্য বিচারিক আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই অনুলিপি পাব। অনুলিপি পাওয়ার পর হাইকোর্টে আপীল করব। ‘আশা করি, আপীল দাখিলের পর গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য দুই/ একদিনের মধ্যে দিনক্ষণ ঠিক হতে পারে। দিন ঠিক হওয়ার পর শুনানি হবে। আপীলের সময় জামিনও চাইব। এটা সংক্ষিপ্ত সাজা। আশা করি, আদালত জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করবেন। তবে, আমরা এখন দন্ড স্থগিত চাইব না। শুধু আপীল। আর আপীলের সঙ্গে জামিন আবেদন, কৌশল মতো পরে দ- স্থগিত চাইব। তিনি আরও বলেন আগামী সংসদ নির্বাচনের বেগম খালেদাজিয়া অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এখন পর্যন্ত তিনি নির্বাচনের অযোগ্য ॥ সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জনকণ্ঠকে বলেন, আজ পর্যন্ত তিনি অযোগ্য। তবে আপীল করার পর যদি দন্ড সাসপেনশন হয় এবং জামিন পান তাহলে নির্বাচনের অংশ নেয়ার বিষয়টি আলোচিত হতে পারে। এর আগে নয়। অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে শুনানিতে তার বিরোধিতা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি বলেন, ‘আমরা খালেদার জামিন শুনানিতে কন্টেস্ট করব’। কমিশন এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। রায় পাওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রায়ের কপি পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন বিচারিক আদালত। তার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে উচ্চ আদালতে আপীল করা হবে কিনা জানতে চাওয়া হয় এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছে। তিনি বলেছেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রায়ের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করেছে। সেই রায়ের কপি হাতে পেলে তারাই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।’ কারাদন্ড হওয়ার কারণে খালেদা জিয়া আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে এ্যাটর্র্নি জেনারেল বলেন, ‘রায়ের কপি পাওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন সুপ্রীমকোর্ট।
×