ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদায় নেবে রোমিও, শেষ রোমান্সের জন্যে অতি জরুরি জুলিয়েট

প্রকাশিত: ১৮:৫৯, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বিদায় নেবে রোমিও, শেষ রোমান্সের জন্যে অতি জরুরি জুলিয়েট

অনলাইন ডেস্ক ॥ আসছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। পৃথিবীর প্রেমিক-প্রেমিকারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভালোবাসার কথা জানাতে। এ দিনেই আবার নতুন সম্পকে জড়িয়ে যাবেন অনেকে। কিন্তু সবার টেনশন এই রোমিওকে নিয়ে। ভ্যালেন্টাইন্স ডে সামনে থাকলেও সে তার জুলিয়েটকে এখনো খুঁজে পায়নি। বোলিভিয়ান ব্যাঙ এই রোমিও। সে তার প্রজাতির শেষ ব্যাঙ। কাজেই বিলুপ্তির পথে রয়েছে প্রজাতিটি। টানা ১০ বছর ধরে সে ব্যাচেলর জীবন কাটাচ্ছে। তার ভবিষ্যত প্রজন্ম নেই। তাই জুলিয়েটের সন্ধান পেতে অন্তত এখন মানুষের সহায়তা দরকার তার। যদি তা করতে ব্যর্থ হয় মানুষ, তবে এখন থেকে এই প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটতে পারে। তাই তার বংশবৃদ্ধি অতি জরুরি। জুলিয়েট খুঁজে পাওয়া বড় জরুরি। বছর ধরে সে রয়েছে কোচাবাম্বা ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে। পানির ট্যাঙ্কিতে বসে বসে সে সঙ্গিনী খুঁজতে ডেকে চলেছে। কিন্তু জুলিয়েট তার কাছে ধরা দেয় না। গ্লোবাল ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী আর্তুরো মুনোজ বলেন, আমরা তাকে আশাহত করতে চাই না। রোমিওকে রোমান্সে ভাসিয়ে দিতে একটি ডেটিং ওয়েবসাইটে ফান্ড গঠন করা হয়েছে। ফান্ডের অর্থ দিয়ে বলিভিয়ার মাটি-পানি চষে ফেলা হবে স্ত্রী প্রজাতির একটি বলিভিয়ান ব্যাঙয়ের সন্ধানে। মুনোজ বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত আশাবাদী। অন্যদেরও এ কাজে উৎসাহী করে তুলছি। কনজারভেশন ব্রিডিং প্রগ্রামের মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিদের টেকাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রোমিওর ডাকের সঙ্গে বিজ্ঞানীদের মনে পরে 'লোনসাম জর্জ' এর কথা। এই গ্যালাপাগোস কচ্ছপটি একাকী থেকে অবশেষে ২০১২ সালে মারা যাওয়ার মাধ্যমে তার প্রজাতির ইতি ঘটায়। রোমিও হলো সিহুয়েনকাস ওয়াটার ফ্রগ। এরা ১৫ বছরের মতো বাঁচে। জুলিয়েটের খোঁজে... ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ১৫ হাজার ডলার তোলা হয়েছে। তার নানা ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। তার প্রোফাইল আছে, সেখানে স্ট্যাটাস 'সিঙ্গেল'। বাচ্চা-কাচ্চা আছে কিনা সেখানে লেখা রয়েছে 'না'। সেখানে আকর্ষণীয় কণ্ঠে বলা হয়েছে, রোমিও একটা সঙ্গিনী খুঁজছে। মানুষদের প্রতি তার বার্তা হলো, তোমারা যদি ভালোবাসায় বিশ্বাস করো, তবে আমার জন্যে একটা সঙ্গিনী খুঁজে দাও। কারণ, আমার বিষয়টা বেশ জরুরি।মুনোজ জানান, এমনিতেই সিহুয়েনকাস ওয়াটার ফ্রগ অনেক লাজুক স্বভাবের। তারা পাথরের নিচে বা পানিতে লুকিয়ে থাকতেই পছন্দ করে। কেবল খাবারের জন্যে বের হয়। সূত্র : এনডিটিভি
×