ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কন্যাদের জন্য অ্যাঞ্জেলিনার উপদেশ

প্রকাশিত: ১৮:৫৬, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কন্যাদের জন্য অ্যাঞ্জেলিনার উপদেশ

অনলাইন ডেস্ক ॥ অ্যাঞ্জেলিনা জোলি সম্প্রতি তার কন্যা সন্তানদেরকে তার দেওয়া উপদেশ বাণী সম্পর্কে কথা বলেছেন। তিনি তার কন্যাদেরকে নিজেদের এবং চারপাশের লোকদের অধিকার নিয়ে লড়াই করার উপদেশ দেন বলেই জানান এই হলিউড অভিনেত্রী। ৪২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর ভিভিয়েন (৯), শিলোহ (১১) এবং জাহারা (১৩) নামের তিনটি কন্যা সন্তান আছে। সাবেক স্বামী ব্র্যাড পিটের ঔরসে জন্ম হয় তিন মেয়ের। তিনি মেয়েকে তিনি সবসময় নিজেদের এবং চারপাশের মানুষদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করার উপদেশ দেন। এলি ম্যাগাজিনের মার্চ ইস্যুর জন্য দেওয়া এক সাক্ষাতাকারে অ্যাঞ্জেলিনা বলেন, ‘আমি আমার মেয়েদেরকে বলি তোমরা অন্যদের জন্য কী করতে চাও তা-ই তোমাদেরকে অন্যদেরকে আলাদা করবে। যে কাউকেই ভালো পোশাক বা মেকআপ করে উপস্থাপন করা যায়। কিন্তু তোমাদের মনই তোমাদেরকে অন্যদের থেকে ব্যতিক্রম করে তুলবে।’ ‘সুতরাং খুঁজে বের করে তোমরা কে। তোমরা কী ভাবো। এবং কী করতে চাও। অন্যদেরও একই ধরনের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা কর। সেবার জীবনই যাপনের যোগ্য।’ মেলফিসেন্ট তারকা খ্যাত এই অভিনেত্রীর ম্যাডক্স (১৬), প্যাক্স (১৪) এবং নক্স (৯) নামের তিনিটি ছেলেও আছে। তিনি বলেন, ‘অতীতে যেসব নারী সমান অধিকারের জন্য লড়াই করে গেছে তাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বর্তমান নারীদের উচিত জোটবদ্ধ থাকা এবং ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করা। কেননা আমরা আজকে যে জায়গায় এসেছি তার জন্য অতীতের নারীরা কঠোর লড়াই সংগ্রাম করেছেন।’ ‘নারীদের উচিত বিশ্বের সব নারীদের সঙ্গে সংহতি জ্ঞাপনমূলক ভাবে নিত্যদিনের জীবন-যাত্রায় নিজেকে তুলে ধরা এবং নিজের অধিকার সম্পর্কে নিজেকে শিক্ষিত করে তোলা।’ এই অভিনেত্রী এবং একটিভিস্ট যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে যুদ্ধের সময় ধর্ষণ এবং যৌন সহিংসতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে তার নিজের প্রচারণার লড়াই সম্পর্কে কথা বলেন। অ্যাঞ্জেলিনা এর আগে একবার বলেছিলেন, তিনি বিশ্বের সব মানুষের প্রতিই তার নিজের একটি দায়-দায়িত্ব আছে বলে অনুভব করেন। গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের করেসপনডেন্টস এসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড কর্তৃপক্ষ তাকে একটি মানবিক পুরস্কারে ভুষিত করেছে। সেসময় তিনি বলেন একজন আমেরিকান হওয়ায় আমি গর্ব বোধ করি। কিন্তু আমি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে বিশ্বের এমন সব মানুষের প্রতিও একটি ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব বোধ করি। কেননা আমরা অনেক ভাগ্যবান। আমরা অনেক বছর আগেই একটি নিরাপদ সমাজ গড়ে তুলতে পেরেছি।’ ‘আর আমার কাছে বিশ্ব নাগিরক হওয়ার মানেই হলো, অন্যদের স্বাধীনতার সংগ্রামে নিজেকেও দেখতে পাওয়া।’
×