ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যে কারাগারের নাম শুনলেই বুক কাঁপে বন্দীদের

প্রকাশিত: ১৮:৫২, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

যে কারাগারের নাম শুনলেই  বুক কাঁপে বন্দীদের

অনলাইন ডেস্ক ॥ নানা অপরাধে বন্দী হন অপরাধীরা। অনেক সময় আক্রোশের শিকার হয়েও অনেকে বন্দী হন। কারাগার সংশোধনাগার না হয়ে যখন নির্যাতন সেল বা নির্যাতন কেন্দ্র হয়ে ওঠে তখন কারাবন্দীদের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। বন্দীদের ওপর নির্মম, নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানোর জন্য কুখ্যাত এসব কারাগার। ব্রাজিলের কারানদিরু কুখ্যাত কারাগারের একটি কারানদিরু। ১৯৯২ সালে বন্দী নির্যাতনের ঘটনা এখনো বিশ্ববাসীকে আতঙ্কিত করে। কারারক্ষীদের হাতে প্রাণ হারান প্রায় ১ হাজার ৩০০ বন্দী। এই কারাগারের ভলান্টারি এক চিকিৎসক জানান, কারাগারের ৪৬ বছরের ইতিহাসে কত বন্দী যে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছেন তার ঠিক চিত্র দেওয়া কঠিন। ব্রাজিলের এই কারাগারে বন্দীদের বেশির ভাগই ছিল খুনি ও মাদক ব্যবসায়ী। কারাগারে তাদের খাবার দেওয়া হতো না। লাঠি দিয়ে পেটানো হতো নিয়মিত। সামান্য বিষয়েই তাদের বেধড়ক পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া ছিল মামুলি ব্যাপার। বন্দীদের মধ্যে কেউ প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এলে তার পরিণতি হতো করুণ। রোদের মধ্যে খালি গায়ে তাদের মাঠে শুইয়ে রাখা হতো। কেউ পানি চাইলে, গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলা ও বন্দীকে মেরে ফেলার ঘটনায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বন্দীদের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুললে তার ঠিক উত্তর দিতে পারেনি ব্রাজিলের সরকার। অনেক সমালোচনার পর ২০০২ সালে এই কারাগার বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদমর বন্দীশালা সিরিয়ার তাদমর মিলিটারি বন্দীশালাকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ‘বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাচারী বন্দীশালা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। কারারক্ষীরা ধমক ছাড়া কথাই বলেন না এখানে। খাবার-পানি কিছু চাইলে উল্টো পেটানো শুরু হয়। বাথরুমের ভিতরেও বন্দীদের রাতে ঘুমাতে বাধ্য করা হতো। বন্দীরা কোনো কষ্টে বলতে এলেই লোহার পাইপ দিয়ে পেটানো হতো এখানে। অভিযোগ রয়েছে ১৯৮০ সালে এই কারাগারে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্দী হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। অন্য বন্দীদের সামনেই হাত-পা বেঁধে একজন একজন করে বন্দীকে কুপিয়ে মারার কথাও অনেকে জানিয়েছেন মিডিয়াকে!
×