ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘বেঁচে থাকতে দেশকে দুর্বৃত্তের হাতে যেতে দেব না’

প্রকাশিত: ০৮:০১, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

‘বেঁচে থাকতে দেশকে দুর্বৃত্তের হাতে যেতে দেব না’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে প্রাথমিক দাবি পূরণ হলেও দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মূল দাবি পূরণ হয়নি বলে মনে করেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। এই প্রেক্ষাপটে বেঁচে থাকতে দেশকে দুর্বৃত্তের হাতে যেতে না দেয়ারও অঙ্গীকার করেছেন সাহসী এই যোদ্ধারা। সোমবার গণজাগরণ মঞ্চের পাঁচ বছর পূর্তিতে শাহবাগে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন। আলোচনার শিরোনাম ছিল ‘মত প্রকাশে বাধা, সাম্প্রতিক কালাকানুন: কোন পথে বাংলাদেশ?’ গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রাথমিক যে দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা অনেকটা পূরণ হয়েছে। কিন্তু আমাদের যে মূল দাবি, তা এখনও পূরণ হয়নি। দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ভাংতে রাজপথে নেমেছিলাম, আমরাই সেই বিচারহীনতার সংস্কৃতির মুখোমুখি হয়েছি। কারণ আমাদের অনেক সহযোদ্ধাকে হত্যা করা হলেও বিচার পাইনি। বরং আইন করে আমাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে হাল্লা রাজার দেশে পরিণত হতে দিতে পারি না এবং দেব না। সেজন্যই গণজাগরণ মঞ্চ লড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে শুধু অন্যায়ের প্রতিবাদকারীদেরই কণ্ঠরোধ করা হবে না, গণমাধ্যমকর্মীদেরও মুখ বন্ধ করা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ইমরান। সড়কে ভিআইপিদের জন্য আলাদা লেইন করার প্রস্তাবের সমালোচনা করে প্রস্তাবকারীদের ‘ধিক্কার’ জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, আমরা যখন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি করতে যাচ্ছি, তখন শুনতে হচ্ছে মন্ত্রীরা তাদের জন্য সড়কে আলাদা লেইন চান। মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে যদি তাদের মনে এমন চিত্র থেকে থাকে, তাহলে তাদের ধিক্কার জানাই। অন্যদের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শম্পা বসু, ছাত্র ইউনিয়নে কেন্দ্রীয় সভাপতি জি এম জিলানী শুভ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। গণজাগরণ মঞ্চের পাঁচ বছর পূর্তিতে দুপুরে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে ‘রং তুলিতে স্বপ্নের বাংলাদেশ’ শিরোনামে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিকেলে বের হয় বর্ণাঢ্য ‘জাগরণ যাত্রা’। শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে আবার শাহবাগে ফিরে শেষ হয় সেই শোভাযাত্রা।
×