ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিজনভ্যানে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

প্রিজনভ্যানে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুলিশের ওপর হামলা ও প্রিজনভ্যান ভেঙ্গে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে হাইকোর্ট এলাকার আশপাশে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই ফুটেজ দেখেই হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত পাঁচ দিনে তিন শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এর সঙ্গে রাজনৈতিক বা বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের কোন সর্ম্পক নেই। ওই দিনের হামলায় যারা জড়িত ছিল, সেসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এদিকে শনিবার ঢাকার সিএমএম আদালতে সোর্পদ করার পর বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ও নাজিম উদ্দিন আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আর রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মতিউর রহমান মন্টুসহ তিনজনকে গত বছরের ৬ মার্চ পল্টন থানার একটি মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। গত ৩০ জানুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা শেষে ফেরার পথে হাইকোর্টের সামনে পুলিশের ওপর হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। লাঠিসোটা, ইটপাটকেল দিয়ে নির্মমভাবে পুলিশকে আহত করা হয়। পুলিশের প্রিজনভ্যান ও পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। প্রিজনভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা সোহাগ মজুমদার (৩৮) ও ওবায়দুল হক মিলনকে (৪০)। হামলাকারীরা প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় ধরে হাইকোর্টসহ আশপাশের এলাকায় একটানা তা-ব চালিয়ে রীতিমতো রণক্ষেত্র সৃষ্টি করে। এমন ঘটনায় শাহবাগ ও রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এরপর থেকেই হামলার সঙ্গে সরাসরি ও নেপথ্যে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য-বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, গণশিক্ষা বিষয়ক সহসম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, দলটির কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমান, নাজিম উদ্দিন আলম, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, মতিউর রহমান মন্টুসহ তিন শতাধিক নেতাকর্মী গত কয়েক দিনে গ্রেফতার হয়। শুক্রবার গ্রেফতারকৃত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমকে শনিবার ঢাকার সিএমএম আদালতে সোর্পদ করে পুলিশ। জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। অন্যদিকে রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মতিউর রহমান মন্টু, আফজাল হোসেন ও সিরাজুল করিম নামের দুই বিএনপি নেতাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে ঢাকার সিএমএম আদালত। এদিকে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার অভিযোগে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোঃ আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলার ঘটনায় যারা জড়িত, সেসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তারা বিএনপি না অন্য কোন দলের তা দেখা হচ্ছে না। ওই হামলায় যারা অংশ নিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে। শনিবার পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এমন গ্রেফতারের সঙ্গে রাজনৈতিক কোন বিষয় নেই।
×