ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে আনিসুল হক

তিন বাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮

তিন বাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম

সংসদ রিপোর্টার ॥ আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীতে যুক্ত করা হচ্ছে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে এ তথ্য জানান সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক। সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি নূরজাহান বেগমের প্রশ্নে তিনি বাহিনীগুলো নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিন বাহিনীতে এরই মধ্যে যেসব আধুনিক সরঞ্জাম দেয়া হয়েছে তা উল্লেখ করেন। সেনাবাহিনী নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, আগামী দুই অর্থবছরে সিলেট সেনানিবাসে ১১টি ইউনিট গঠন করা হবে। পরবর্তী তিন অর্থবছরে রামু সেনানিবাসে গঠন করা হবে ১৪টি ইউনিট। ২০২৫ সাল নাগাদ মোট ৫৬টি ইউনিট গঠন করার কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামাইন উপজেলায় সেনানিবাস গঠনের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে একটি আরই ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া সেনাবাহিনীতে স্বতন্ত্র আর্মস হিসেবে স্পেশাল ফোর্স গঠনের লক্ষ্যে একটি সদর দফতর প্যারা-কমান্ডো ব্রিগেড এবং একটি প্যারা-কমান্ডো ব্যাটালিয়ন গঠনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া বিওএফ এর অধীনে চীন থেকে টেকনোলজি ট্রান্সফার এর মাধ্যমে এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারির জন্য ভিসোরাদ মিসাইল উৎপাদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রশ্নোত্তরে নৌবাহিনীর ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে নৌবাহিনী পরিচালিত চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড (সিডিডিএল) এ বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ফ্রিগেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশাল সমুদ্র এলাকা টহলের জন্য ৬টি ফ্রিগেট নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া সামুদ্রিক নজরদারির জন্য দুটি এমপিএ কেনা প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি দুটি হেলিকপ্টার কেনারও পরিকল্পনা রয়েছে। মন্ত্রী জানান, নৌবাহিনীর ভবিষ্যত সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আরও দুটি ফ্রিগেট, এমসিএমভি, সাবমেরিন রেসকিউ ভেসেল, লজিস্টিক শিপ, প্যাট্রোল ক্রাফট, ওশান টাগ, ফ্লোটিং ডক ইত্যাদি কেনা পরিকল্পনাধীন রয়েছে। বিমানবাহিনীর ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের জন্য বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার, জহুরুল হক, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান এবং অগ্রবর্তী ঘাঁটি কক্সবাজারে চারটি এটিএস র‌্যাডার স্কোয়াড্রন স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব র‌্যাডার স্কোয়াড্রনের সংস্থাপন প্রস্তাবগুলো ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল অনুমোদিত হয়েছে।
×