ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আজ ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮

আজ ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ আজ ২৪ জানুয়ারি বুধবার বাঙালী জাতির ঐতিহাসিক স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান দিবস। মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তিসনদখ্যাত ৬ দফা এবং পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেয়া ১১ দফা কর্মসূচীর প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে শহীদ মতিউর স্মৃতিসৌধে (নবকুমার ইনস্টিটিউট, বকশীবাজার, ঢাকা) শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আজ বিকেল তিনটায় পার্টি কার্যালয়ের সামনে ‘শহীদ আসাদ ও ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। খবর বাসস’র। গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, সকল শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশ ও জাতির আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং অসাম্প্রদায়িক, উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। ঐতিহাসিক ২০ জানুয়ারি ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২, ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে ঢাকায় সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি এই অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। এই গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালী জাতি মহান স্বাধীনতা অর্জন করে। ঊনসত্তরের এদিন ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণীর ছাত্র কিশোর মতিউর ও রুস্তম শহীদ হন। প্রতিবাদে সংগ্রামী জনতা সেদিন সচিবালয়ের দেয়াল ভেঙ্গে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনগণ আইয়ুব মোনায়েম চক্রের দালাল, মন্ত্রী, এমপিদের বাড়িতে এবং তাদের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান ও পাকিস্তান অবজারভারে আগুন লাগিয়ে দেয়। জনগণ আইয়ুব গেটের নাম পরিবর্তন করে আসাদ গেট নামকরণ করে।
×