ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেরপুরে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন ১

প্রকাশিত: ০২:০২, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮

শেরপুরে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন ১

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরে শ্রীবরদীতে বিয়ের প্রলোভনে ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া এক দরিদ্র কন্যাকে ধর্ষণ ও প্রতারণার দায়ে এক ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড- দিয়েছে শিশু আদালত। দন্ডিত পলাশ মিয়া (২২) উপজেলার গিলাগাছা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে। মঙ্গলবার বিকেলে দন্ড-প্রাপ্ত পলাশের অনুপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন শিশু আদালতের বিচারক (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন। ধর্ষণের ফলে কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ার পর ডিএনএ পরীক্ষায় ওই ধর্ষিতার কন্যার বাবা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে পলাশ মিয়া পলাতক রয়েছে। রায়ে একইসাথে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। আর ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া মেয়েটিকে তার মায়ের হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শিশু আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শ্রীবরদী উপজেলার গিলাগাছা গ্রামের পলাশ মিয়া পাশ^বর্তী আবুয়ারপাড়া গ্রামের ৫ম শ্রেণিপড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী ওই বালিকার সাথে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে বালিকা স্কুলছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়। কিন্তু ধর্ষক পলাশ মিয়া ঘটনাটি অস্বীকার করলে বালিকার বাবা বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর শ্রীবরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই বছরের ১ জুন ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটনাটি ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়। পরে আদালতে ধর্ষক পলাশ ওই বালিকার পেটের বাচ্চা তার নয় বলে অস্বীকার করে জামিনে বেরিয়ে আসে। পরে ধর্ষিতা বালিকা কন্যা সন্তান প্রসবের পর ডিএনএ পরীক্ষায় ধর্ষক পলাশ মিয়া জন্ম নেওয়া ওই শিশু কন্যার ‘বায়োলজিক্যাল ফাদার’ (পিতা) বলে নিশ্চিত হওয়ার পর ধর্ষক আত্মগোপন করে। পরে শ্রীবরদী থানার এসআই আনোয়ার হোসেন ধর্ষক পলাশ মিয়াকে একমাত্র আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বাদী, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৮ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার আদালত ধর্ষক পলাশ মিয়াকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ঘোষণা করেন। আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
×