ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সিলোনার গোলোৎসব

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সিলোনার গোলোৎসব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইউরোপিয়ান ফুটবলে রবিবার জোড়া গোলের রাত গেছে। সব পরাশক্তি দলের বেশিরভাগ তারকারই করেছেন দু’টি করে গোল। এ তালিকায় আছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ, গ্যারেথ বেল, টমাস মুলার ও রবার্ট লেভানডোস্কি। এরা সবাই নিজ নিজ দলের হয়ে পরশু রাতে জোড়া গোল করেছেন। স্প্যানিশ লা লিগায় ডিপোর্টিভো লা করুনার বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও ৭-১ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচে জোড়া গোল করলেও দ্বিতীয় গোল করার সময় আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন রোনাল্ডো। এ্যাওয়ে ম্যাচে রিয়াল বেটিসকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সিলোনা। দলের হয়ে দু’টি করে গোলক করেন মেসি ও সুয়ারেজ। এ জয়ে ২০ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সিলোনা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৪৩। তিন পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ভালেন্সিয়া। ১৯ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে রিয়াল। ফর্ম হারিয়ে দিশেহারা রোনাল্ডো গোল পাওয়ার আগ পর্যন্ত অনুজ্জ্বলই ছিলেন। ৭৮ মিনিটে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেন। কাসিমেরোর ক্রসে বল জালে জড়ান তিনি। কিন্তু বিপত্তি বাধে দ্বিতীয় গোল করার সময়। ছয় মিনিট পর লুকাস ভাসকেসের ক্রসে ডাইভিং হেডে গোলটি করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। তবে হেড করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের বুটের আঘাতে রক্তে মাখামাখি হয় রোনাল্ডোর মুখ। বুটের আঘাতে পর্তুগীজ তারকার কপাল ফেটে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর রোনাল্ডো মাঠে দাঁড়িয়েই টিম ডাক্তারের ফোনে নিজের আঘাতের গুরুত্ব নিজে চোখে দেখে নেন। সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ শিবিরে আক্রমণ করে খেলতে থাকে রিয়াল। কিন্তু ম্যাচের ২৩ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে লা করুণাকে লিড এনে দেন আদ্রিয়ান লোপেজ। বাঁ দিক থেকে ডি বক্সে ঢুকে লুকাস পেরেজের গোলমুখে বাড়ানো বল জালে ঠেলে দেন স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৩২ মিনিটে রিয়ালকে সমতায় ফেরান নাচো ফার্নাদেজ। মার্সেলোর বাড়ানো বলে কোনাকুনি শটে দলকে সমতায় ফেরান এই তারকা। ম্যাচের ৪২ মিনিটে চমৎকার এক গোলে দলকে এগিয়ে দেন বেল। বাঁ দিক থেকে মার্সেলোর ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের দারুণ বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান ওয়েলসের এই ফরোয়ার্ড। বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় রিয়াল। ৫৮ মিনিটে কর্নারে হেডে বল জালে জড়ান বেল। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে বেশ বাইরে থেকে জোরালো শটে ব্যবধান আরও বাড়ান লুকা মডরিচ। চার মিনিট পর গোল করার মতো অবস্থায় বল পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন রোনাল্ডো। অবশেষে অনেকগুলো সুযোগ মিস করা সি আর সেভেন ৭৮ মিনিটে প্রথম গোল করেন। এরপরের গোলটি করার সময় রক্তাক্ত হন তিনি। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে লা করুনার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন নাচো। রাফায়েল ভারানের হেডে বাড়ানো বল ধরে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার। লা লীগায় দারুণ ছন্দে আছে বার্সিলোনা। টানা ২৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর গত সপ্তাহে কোপা ডেল রের ম্যাচে হারলেও লীগে বড় জয় পেয়েছে কাতালানরা। প্রতিপক্ষের মাঠ ম্যাচের শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আক্রমণ করে খেলতে থাকে বার্সা। তবে প্রথমার্ধে কোন গোল পায়নি অতিথিরা। বিরতির পর ম্যাচের ৫৯ মিনিটে বার্সাকে লিড এনে দেন ইভান রাকিটিচ। সুয়ারেজের পাস থেকে পাওয়া বল জালে জড়ান ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডার। পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান মেসি। সার্জিও বসকুয়েটসের বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন এই তারকা। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন সুয়ারেজ। ডি বক্সের মধ্যে ডান দিক থেকে রাকিটিচের বাড়ানো বল ভলিতে জালে পাঠান উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। ম্যাচের ৮০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মেসি। ডি বক্সে এক জনকে কাটিয়ে আরেক জনের বাধা এড়িয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ম্যাচ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে রিয়াল বেটিসের জালে শেষ গোলটি করেন সুয়ারেজ।
×