ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮

ঢাকার দিনরাত

প্রথমেই পাঠকের কাছে কৈফিয়ত দিচ্ছি, গত সপ্তাহে লিখতে পারিনি ঢাকায় ছিলাম না বলে। আব্বার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে চটজলদি ঢাকা ত্যাগ করি। শুধু কুয়াশার জন্য জানাজা পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হই। জুমার নামাজের পরপরই জানাজা পড়ানো হয়। মহানগরীর অভ্যন্তরের কুয়াশাকে আমরা আমল দিইনি। গাড়ি ছুটেছিল যথারীতি, কিন্তু দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এসে আটকে যাই। পাক্কা তিন ঘণ্টা ঘাটে বসে থাকতে হয়, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি ছাড়েনি। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে সেখানে সামান্য বৃষ্টিও হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সূর্যের দেখা না পেলেও কুয়াশা ধীরে ধীরে রয়িমাণ হতে শুরু করলে আমাদের ফেরি যাত্রা শুরু করে। লক্ষ্য করে দেখলাম নদীর অনেকখানি স্থান জুড়ে চর পড়ে গেছে। এই চরের কারণেও ফেরি চলাচলে মন্থরতা বিরাজ করছে। ঢাকার বাইরে থেকে যখন এ মহানগরীতে প্রবেশ করি, আমরা ধাক্কা খাই বিবিধ কারণে। ধোঁয়া-ধুলো আর কুয়াশা মিলেমিশে ধ্বংসাত্মক অস্বচ্ছ এক আবহ তৈরি করে। দূর থেকে ঢাকার অবয়ব অবলোকন করে অনেকেরই মনে হতে পারে- এক অভিশপ্ত নগরীর দ্বারপ্রান্তে বুঝি এসে পড়েছি। দ্বিতীয়ত মাত্রাতিরিক্ত যানবাহনের কিছুটা বিশৃঙ্খল চলাচল ও হুড়োহুড়ি দেখে এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়। তার সঙ্গে যুক্ত হয় মুহুর্মুহু তীব্র হর্নের শব্দদূষণ। ঢাকার পেটের মধ্যে বসবাস করে আমরা বহু নেতিবাচক বিষয় হয়তো কিছুটা উপেক্ষা করে যাই, আপাত সহনীয়ও হয়ে ওঠে এসব। কিন্তু ক’দিন ঢাকার বাইরে কাটিয়ে এসে ঢাকায় প্রবেশের পরে আমরা বুঝতে পারি- কোন শহরে কীভাবে আমরা জীবনযাপন করি। গ্যাস-বিড়ম্বনা শীতে সাধারণত ঢাকায় বেশ কয়েকটি এলাকার বাসাবাড়িতে গ্যাসের চাপ কম থাকে। বিগত বছরগুলোতে যে সব এলাকায় (বিশেষ করে পুরনো ঢাকায়) এ সমস্যা ছিল এবারও সেসব স্থানে একই সমস্যা বিরাজ করছে। বরং সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। উত্তরায় আছি একযুগ, গত বছরই প্রথম গ্যসের সঙ্কট দেখেছিলাম। চলতি বছর যা বড় ধরনের বিড়ম্বনা হয়ে দেখা দিয়েছে অন্তত আমাদের মহল্লায় এটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি। রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় দিনের বেলা ঘণ্টার পর ঘণ্টা গ্যাসের চাপ কম থাকায় রান্নার কাজে বিঘ্ন ঘটছে। আবার অনেক সময় পুরোপুরি বন্ধও থাকছে গ্যাস। এটা ঠিক যে কারিগরি ত্রুটি, পাইপ লাইনে ময়লা জমে থাকা, রক্ষণাবেক্ষণের কাজসহ নানা কারণে ঢাকায় কোন কোন এলাকায় গ্যাস সরবরাহে বিঘœ ঘটতেই পারে। কিন্তু নিয়মিতভাবে এ অবস্থা চললে সেটি দুর্ভোগের পর্যায়ে চলে যায়। গ্যাসের মজুদ কমে আসছে- এটা সত্য। আবার গ্যাসের চাহিদাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। তাই বিকল্প হিসেবে সিলিন্ডার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। বিদ্যুত সরঞ্জাম ব্যবহার করেও আংশিকভাবে রান্না করছেন বহু ঢাকাবাসী। সেক্ষেত্রে আবার বিদ্যুতের খরচ ও চাহিদাও বেড়ে যাচ্ছে। ঢাকায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে, আবার সমাধানের পথও বের হয়ে আসছে। ঢাকাবাসী হয়ে উঠছে সর্বংসহা নাগরিক। এই মুহূর্তে ঢাকার যেসব জায়গায় গ্যাস-সঙ্কট তীব্র হয়ে উঠেছে, সেই এলাকাগুলো হচ্ছে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার ও কাজী আলাউদ্দিন রোড, যাত্রাবাড়ীর ধলপুর, কাজলা ও বিবির বাগিচা এলাকা, কামরাঙ্গীরচরের মুন্সিহাটি, জুরাইন, পোস্তগোলা, সিপাহীবাগ, মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড এবং মিরপুরের একাংশ। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশনস) উল্লিখিত এলাকাগুলোতে গ্যাস-সঙ্কটের বিষয়ে তাঁর অভিমত জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে। বলেছেন, ‘গ্যাসের চাহিদা ও জোগানের যে ফারাক, তাতে এমন সমস্যা তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক। এমনিতে আমাদের দৈনিক ঘাটতির পরিমাণ ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর সঙ্গে যখন তাপমাত্রা কমে যায়, শৈত্যপ্রবাহ চলে, তখন গ্যাসের ব্যবহার আরও বেড়ে যায়। ফলে সঙ্কটও বাড়ে।’ তিতাসের জরুরী নিয়ন্ত্রণ বিভাগের আরেক কর্মকর্তার ভাষ্য, সরবরাহের ঘাটতির পাশাপাশি গ্যাস সংযোগের নেটওয়ার্ক আপগ্রেড না হওয়াও সঙ্কটের আরেকটি কারণ। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলার বাঘ কখনও কখনও ঢাকাকে ক্রিকেট খেলার মাতামাতিতে পেয়ে বসে। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের কল্যাণে টাইগারদের ম্যাচ কিংবা টাইগারদের প্রতিপক্ষ দলগুলোর ম্যাচ সারা দেশের ক্রিকেট দর্শকরাই দেখতে পান। কিন্তু ঢাকাবাসীর মতো সরাসরি খেলার মাঠে গিয়ে খেলা দেখার সুযোগ করে উঠতে পারেন ঢাকার বাইরের খুব কম মানুষই। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলার বাঘেরা একহাত নিয়েছে সিংহ শাবকদের ওপর। এমনকি ত্রিদেশীয় ওয়ান ডে কাপের তিন নম্বর বা দুর্বলতম দল হিসেবে চিহ্নিত জিম্বাবুইয়েও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিয়েছে। এতে দারুণ খুশি বাঙালীরা। দেশের কিক্রেট দলের খেলোয়াড়দের টাইগার বা বাঘ বলে সম্বোধন করা হচ্ছে সেই শুরু থেকেই। আর এখানে সিংহশাবক বলছি শ্রীলঙ্কান কোচ হাথুরুসিংহকে। বেচারা শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়েরা। বাঘের ঘায়ে তারা রীিিতমতো বেড়ালে পরিণত হয়েছে। আর তাদের কোচ কি ‘ভেজা বেড়াল!’ এভাবেই পরিহাস করছেন কেউ কেউ। অথচ কিছুদিন আগেও ওই হাথুরেসিংহে ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের কোচ। বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ম্যাচে এই কোচের প্রসঙ্গ বার বার আসাটাই স্বাভাবিক। হয়ত এত বিপুলভাবে উচ্চারিত হতো না তার নাম। কিন্তু বহু বিতর্কের জন্ম দিয়ে ক্রিকেটমোদীদের বিরাগভাজন হয়ে তিনি এদেশ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। ফলে তার নিজের দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি ভিন্ন বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। বলাবাহুল্য এই ম্যাচ জিতলে উন্নাসিক ওই কোচ আত্মম্ভরিতা প্রদর্শন করতে ছাড়তেন না। ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও তার একটা সান্ত¦¦না থাকত। অথচ টাইগাররা শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে রেকর্ড ১৬৩ রানে। এই হার শ্রীলঙ্কার জন্য নিশ্চয়ই লজ্জার। হাথুরুসিংহের জন্যও আলাদা কিছু নয়। যাহোক, ফিরতি ম্যাচে জিম্বাবুইয়েকে হারানোর ফলে ফাইনালের রেসে থাকলো শ্রীলঙ্কা। তারপরও তিন দলের ভেতর থার্ড হওয়ার লজ্জা নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় কিনা শ্রীলঙ্কা! মানে হাথুরুসিংহেই! চলতি পথে পিঠা বানানোর ধুম চলতি পথে ঢাকায় অনেক কিছুই দেখা যায় যদি চোখ মেলে থাকি। সেই দেখাটা পাঠকের সঙ্গে ভাগাভাগি করব মাঝেমধ্যে ছবিসহ। ঢাকার দুটি এলাকার দৃশ্য, যদিও বিষয় এক। উত্তরা ১১ নং সেক্টরের একটি সড়কের প্রান্তে দুপুরবেলা এক পরিবারের তিন সদস্য পিঠা তৈরির যোগাড়যন্ত্র করছে। এখানে যে পিঠে বানানোর চুলো আছে তা আমাদের নজরেই আসেনি। কমান্ডো স্টাইলেই বলা যায় রিক্সা থেকে নামলেন এক লোক, সঙ্গে তার দুই সন্তান। প্রত্যেকের হাতেই কিছু না কিছু সরঞ্জাম। ঢেকে রাখা মাটির চুলো বেরিয়ে পড়ল প্লাস্টিকের পর্দা সরাতেই। ব্যস তড়িঘড়ি বসে গেল তিনজন। বাসা থেকে পিঠে তৈরির কাঁচামাল মানে চালের গুঁড়ার গোলা ইত্যাদি নিয়ে আসা হয়েছে। এখন চুলো জ্বালিয়ে শুরু হবে পিঠে তৈরি। ভাপা ও চিতইÑ দুরকম পিঠেই হবে। দ্বিতীয় ছবিটি রামপুরা বনশ্রীর, তবে রাত ১০টার পরের ছবি। লাইন ধরে সাজানো চুলোয় পিঠে তৈরি হচ্ছে। এরা অবশ্য সবাই মহিলা। আর বসেনও সন্ধেবেলা পিঠে বানানো ও বিক্রির কাজে। কয়েক সপ্তাহ আগে এই কলামে ঢাকার ভাসমান পিঠা বিক্রেতা ও অর্থনীতির সম্পর্ক নিয়ে লিখেছি। তাই পুনরাবৃত্তি থাক। তবে আজ থেকে ঢাকায় জাতীয় পিঠামেলা শুরু হচ্ছে সে খবর জানিয়ে রাখি। দুর্দান্ত এক শিল্পীর প্রস্থান প্রদর্শনীটা চলছে মোহাম্মদপুরের কলাকেন্দ্রে। উদ্বোধনের আগে ফেসবুক মেসেঞ্জারে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন শিল্পীর মা, সুপরিচিত কবি রহিমা আফরোজ মুন্নী। যশোর থেকে ঢাকায় ফিরেই পেলাম দুঃসংবাদ। সেটিও মায়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে (পরে খবরের কাগজেও এসেছে)। এক পর্যায়ে তিনি মেয়েকে আপনি সম্বোধনও করেছেন। কবি লিখেছেন : “আমার মেয়ে, ছোট্ট সুন্দর একটা পরীর মতো মেয়ে, ছিল, ছিল মানে ছিল, এখন আর নাই, আমার একমাত্র গর্ব, আমার একমাত্র আশ্রয়কে এইমাত্র আমি নিজ হাতে ফ্যানের মধ্যে ঝুলতে থাকা অবস্থা থেকে নামালাম...আফরিদা তানজিম মাহি এখন একটা নাম, শরীর নাই, মন নাই, নাম আছে খালি। আমার সঙ্গে ঠিক করেন নাই আপনি, এইরকম কথা ছিল না, আপনি আমি এত ভাল বন্ধু তাহলে কিসে আটকাল আপনাকে? কাল রাতেও অনেকক্ষণ আপনাকে বুঝিয়েছি, আপনি এই প্রথম শান্ত হয়ে বিনা আর্গুমেন্টে আমার কথা শুনলেন, আমি অবাক হচ্ছিলাম, আপনি আমি শুরু হলে কেউ কাউকে কথাই বলতে দেই না, কাল কি সুন্দর সব বুঝলেন, তাহলে? এটা ঠিক হলো না, আপনি আমি একসঙ্গে যাবার কথা পার্থে, আপনার ক্যাম্পাস দেখব না আমি? আচ্ছা, না দেখলাম, কিন্তু কালকে কি বলেছিলাম বলেন তো? আপনার ট্যালেন্ট নিয়ে কথা বলছিলাম, আপনি একদিন হৈ চৈ ফেলে দেবেন ছবি আঁকিয়ে হিসেবে... আজব, আপনার লোভ হলো না একটুও? কেন হলো না? কেন আপনি অন্যরকম হলেন? তাহলে নাইবা জন্মাতেন?’’ বড় ধরনের ধাক্কা খাই বুকের ভেতর। কন্যাতুল্য শিল্পী আফ্রিদা তানজীম মাহীর আঁকা ছবি নিয়ে জনকণ্ঠের সাময়িকী পাতায় একটা পর্যালোচনা লেখার কথা ভবে রেখেছিলাম। লেখার শক্তি পাচ্ছি না। প্রদর্শনীর ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে শুধু চোখের জলই ফেলেছি। মাহীর চিত্র প্রদর্শনীর কিউরেটর বিশিষ্ট শিল্পী ওয়াকিলুর রহমানের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বললাম আমরা। একটা বিষয় পরিষ্কার হলো যে একুশ বছরের মেধাবী শিক্ষার্থী মাহী তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। সামনের মাসেই স্কলারশিপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার পড়তে যাওয়ার কথা ছিল। এই কলামের পাঠকদের মাহীর ছবি সম্পর্কে ধারণা দিতে আমাদের এক বন্ধুর লেখা থেকে তুলে দিচ্ছি। শিল্পী ও শিল্প-সমালোচক রনি আহম্মেদ লিখেছেন, ‘আফ্রিদা তানজিম একটি বুদ্ধিমত্তার নাম; উজ্জ্বল মন এবং কল্পনাপ্রবণ অথচ জটিল একটি মস্তিষ্কের অধিকারী আফ্রিদা, নির্দিষ্ট একটি বিশ্বের কথা বলে। বলা যায়, একপ্রকার অন্ধকার দৃষ্টিভঙ্গির মধ্য দিয়ে তার শিল্পযাত্রা শুরু হয়েছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন আধুনিক বিশ্ব দ্বারা তৈরি পুঁজিবাদের ফাঁদে আটকে পড়ে থাকা কিছু বিভ্রান্তি আছে সেখানে–আপাতদৃষ্টিতে যারা অব্যাহতির পথ খুঁজে ফিরছে! আফ্রিদা মনুষ্য মনের মধ্যে শয়তানের সত্তা অনুসন্ধান করতে সক্ষম হয়েছে। এমন দানব যা সমস্ত মন্দ ও বৈষম্য সৃষ্টি করে! যা অবিরাম দুঃখের জন্ম দেয়। মানুষের, মনস্তাত্ত্বিক অন্ধকারাচ্ছন্ন যে সত্তাকে আফ্রিদা উন্মোচন করেছে তা শয়তান দ্বারা আবৃত মানুষের মনের অন্ধকার দিক। শয়তান বা ইবলিস আমাদের জীবনে প্রতিটি ধাপে আমাদেরকে বিভ্রমে ফেলে। যুদ্ধ, রাগ, ঘৃণা, বিষণ্ণতা– এইসব মৃত্যু ও ধ্বংস অনুবন্ধী ঘটনা, যা বিয়োগাত্মক, মুনাফার অনুসন্ধানকারী পুঁজিবাদী সংগঠনসমূহ, তাদের বিরুদ্ধে আফ্রিদা সংগ্রামী ভূমিকা গ্রহণ করেছে, সে মৃত্যু ও ধ্বংস অনুবন্ধী প্রতিচ্ছবিসমূহ শিল্পকর্মের মধ্যে দিয়ে সমস্ত বিশ্বের কাছে প্রদর্শন করতে ইচ্ছুক! তার ছবির ফিগারসমূহ কখনও কখনও বাস্তবতার ব্যাকরণ মেনে চলে, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ে অন্য জগৎকে নিয়ে আসতে চায়। রং ও কম্পোজিশনে এক ধরনের বিষন্ন মায়াময় পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়, যার অন্তরালে মৃত্যুর হাতছানি সহজেই লক্ষণীয়। এ যেন মানুষের অবদমিত কামনা বাসনা, মৃত্যুপ্রসূত এক গোলকধাঁধার বিশ্ব!’ ২১ জানুয়ারি ২০১৮ [email protected]
×