ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কর্মীবিহীন দোকান

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮

কর্মীবিহীন দোকান

এবার সুপারশপ থেকে পণ্য ক্রয় করা ক্রেতাদের জন্য আরও সহজ হলো। পণ্য কিনে বের হওয়ার সময় থামতে হবে না কোন কাউন্টারে। টাকা-পয়সা লেনদেনের কোন ঝামেলাই নেই। তাছাড়া দোকানের কোন কর্মী পেছনে পেছনে থেকে আপনার বিরক্তির কোন কারণও হবে না। সোমবার এমনই সুপারশপ চালু করেছে মার্কিন ই-কমার্স এ্যামাজন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে এ্যামাজন গো নামের এই সুপারশপ নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এই দোকানের ছাদে যুক্ত আছে অনেক ক্যামেরা। এগুলো প্রত্যেক ক্রেতাকে শনাক্ত করবে আর তারা কোন কোন পণ্য নিচ্ছে আর কোনগুলো দেখে রেখে দিচ্ছে সব তথ্যই রেকর্ড করবে। ক্রেতা দোকান থেকে বেরিয়ে গেলে তিনি যেসব পণ্য কিনেছেন সেগুলোর মোট দামের সমপরিমাণ বিল তার ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে করে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে ক্রেতাদেরকে অবশ্যই দোকানে প্রবেশের আগে এ্যামাজন গো স্মার্টফোন এ্যাপ স্ক্যান করাতে হবে। ক্রেতারা কোন পণ্য তাক থেকে হাতে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেন্সরগুলো এই পণ্যের দাম বিলে যোগ করে দেবে, পণ্যটি যদি আবার তাকে রেখে দেয়া হয় তবে তার দামও বাদ দেয়া হবে সঙ্গে সঙ্গে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে এই দোকান চালু করেছিল এ্যামাজন। সে সময় শুধু এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই এই দোকান থেকে কেনাকাটা করতে পারতেন। এ্যামাজনের অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, একই ধরনের দৈহিক গঠনের ক্রেতাদের সঠিকভাবে শনাক্ত করতে আর শিশুরা এক তাকের পণ্য অন্য তাকে নিয়ে রেখে দিলে তা নিয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ্যামাজন গো-এর প্রধান গিয়ানা পুয়েরিনি বলেন, পরীক্ষাকালে দোকানটি ভালভাবেই পরিচালিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রযুক্তি এখন কোথাও নেই- মেশিন লার্নিং আর কম্পিউটার ভিশন’কে এখানে আসলেই উন্নত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। ২০১৭ সালে এ্যামাজন ১৩৭০ কোটি ডলারের বিনিময়ে চেইনশপ হোল ফুডসকে কিনে নেয়। এ্যামাজন গো-কে হোল ফুডস থেকে আলাদা রাখা হয়েছে। হোল ফুডস-এর কয়েক শ’ দোকানে এই প্রযুক্তি আনার কোন পরিকল্পনা এখনও প্রকাশ করেনি এ্যামাজন। -বিবিসি
×