ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ত্রিদেশীয় সিরিজ

ফিরতি ম্যাচেও জিম্বাবুইয়েকে হারাতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮

ফিরতি ম্যাচেও জিম্বাবুইয়েকে হারাতে চায় বাংলাদেশ

মোঃ মামুন রশিদ ॥ দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কে হবে সেটা নির্ভর করছে পরবর্তী দুই ম্যাচের ফলাফলের ওপর। টাইগারদের দারুণ সুযোগ ফাইনালের আগে দুই প্রতিপক্ষকেই ঝালিয়ে দেখার। আজ জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ফিরতি ম্যাচ। এই ম্যাচে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সামনে একটি রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছে। দলকে জেতাতে পারলে ওয়ানডে ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে সর্বাধিক জয় ছিনিয়ে আনার রেকর্ড গড়বেন তিনি। তবে জিম্বাবুইয়ে ফাইনালে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ। ম্যাচের স্মৃতি ভুলে গিয়ে এবার ভাল পারফর্মেন্স দেখিয়ে ভাল ফল বের করতে সচেষ্ট থাকবে তারা। বেলা ১২টায় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে। জিম্বাবুইয়েকে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশ দল। বছরের শুরুটা হয় সাফল্য দিয়ে। অথচ কোচ চান্দিকা হাতুরাসিংহের পদত্যাগের পর কোচশূন্য টাইগারদের সাফল্য পাওয়া নিয়ে ছিল সংশয়। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেও চান্দিকার নতুন দল শ্রীলঙ্কাকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়াতে এখন নির্ভর হয়ে খেলতে পারবে টাইগাররা। সুযোগ আছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার। এ বিষয়ে তামিম বলেন,‘আমি ওই অবস্থানে নেই এই কথাটা বলার জন্য। এসব নির্বাচক, কোচ ও অধিনায়কের ওপর নির্ভর করবে। আমার কাছে মনে হয় যারা সাইড বেঞ্চে আছে তারাও সক্ষম ভাল খেলার জন্য। যদি তারা এ রকম কোন কিছু সিদ্ধান্ত নেয়, আমি নিশ্চিত যেই খেলবে তার সেরা সামর্থ্য হিসেবে খেলার চেষ্টা করবে। আমরা যেভাবে করে যাচ্ছি দল হিসেবে, দুইটা ম্যাচ খুব ভাল খেলেছি- আমরা এখন মনোযোগী হতে চাই যে আমাদের যদি ছোট ছোট কোন ভুল হয়ে থাকে দুই ম্যাচে আরেকটু বেশি উন্নতি যেন করতে পারি।’ এর আগে ২০০৯ সালে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত একটি ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। আরেকবার সেই সুযোগ করে নিয়েছে মাশরাফির দল। তবে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি প্রতিপক্ষ। ফাইনালে যেতে পারে জিম্বাবুইয়ে কিংবা শ্রীলঙ্কার মধ্যে যেকোন একটি দল। কিন্তু প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ চাইছে কাকে? এ বিষয়ে তামিম বলেন,‘আমি ওরকম করে বলব না যে শ্রীলঙ্কাকে চাই বা জিম্বাবুইয়েকে চাই। আমাদের কাজ হলো, কাল (আজ) আমাদের জন্য জরুরী একটা খেলা। আমাদের আরও ভাল কিছু করার সুযোগ আছে। জিনিসগুলো নিশ্চিত করতে হবে। ফাইনালে যার সঙ্গে দেখা হবে ওরকম করেই খেলব।’ এ ম্যাচে মাশরাফি দলকে জেতাতে পারলেই ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে দেশের পক্ষে সর্বাধিক জয়ের রেকর্ড গড়বেন তিনি। হাবিবুল বাশার সুমন ৬৯ ম্যাচে এবং মাশরাফি ৫২ ম্যাচে ২৯টি করে জয় এনে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। আজ হাবিবুলকে ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়ার সুযোগ মাশরাফির। সাম্প্রতিক সময়ে শক্তিমত্তার বিচারে বিস্তর তারতম্য থাকায় বাংলাদেশও জয়ের বিকল্প কিছু ভাবছে না। এ ম্যাচে তামিমেরও দুটি রেকর্ড ছোঁয়ার সুযোগ। নির্দিষ্ট কোন ভেন্যুতে সর্বাধিক রান করার বিশ্বরেকর্ড গড়তে তার প্রয়োজন ৪২ রান। আর প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ৬ হাজার ওয়ানডে রান করার জন্য দরকার ৬৬। তাই এ ওপেনারের দিকেও নজর থাকবে সবার। এতকিছুর হিসেবের মধ্যে দিয়েও জিম্বাবুইয়ে মরিয়া দারুণ কিছু করার। তাদের সাফল্যের যদিও ধারাবাহিকতা নেই, কিন্তু লঙ্কানদের বিরুদ্ধে একটি জয়ে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে যেকোন দলকেই হারিয়ে দেয়ার। ম্যাচের আগের দিন দলটির উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান পিটার মুর জানালেন হার দেখা দুটি ম্যাচের কথা ভুলে গিয়ে আজ দারুণ কিছু করতে চান তারা। এ বিষয়ে মুর বলেন,‘অবশ্যই আমরা টুর্নামেন্টের ফাইনালকে টার্গেট করে এসেছি। বিষয়টি এমন নয় যে আমরা এখানে শুধু খেলার জন্য খেলতে এসেছি। কালকের (আজ) ম্যাচটি আমাদের জন্য মৌলিক হয়ে উঠেছে। ফাইনালে যেতে ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচটিতে আমরা সবাই ভাল পারফর্মেন্স দেখাতে বেশ আত্মবিশ্বাসী।’ তবে সর্বশেষ ৯ ওয়ানডেতেই বাংলাদেশের কাছে বড় ব্যবধানে হার দেখা জিম্বাবুইয়ের জন্য স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া বেশ দুষ্কর। আর দেশের মাটিতে টাইগাররা গত তিন ৪ বছর ধরেই দুর্বার ও অপ্রতিরোধ্য।
×