ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জঙ্গীবাদে অভিযুক্ত মতিন গ্রেফতারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘটনার নয়া মোড়

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮

জঙ্গীবাদে অভিযুক্ত মতিন গ্রেফতারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘটনার নয়া মোড়

বিভাষ বাড়ৈ ॥ শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মোতালেব হোসেন, কর্মচারী নাসিরউদ্দিন ও জঙ্গীবাদে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিনের গ্রেফতার নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার এ ইস্যুই ছিল সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সামনে চলে এসেছে কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনের বছিলায় নির্মাণাধীন সাত তলা ভবন। জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জঙ্গীবাদে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটি খুলে দেয়ার আদেশ ইস্যুর বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণের অপরাধেই গ্রেফতার হয়েছেন মোতালেব ও নাসিরউদ্দিন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, অপরাধ ছাড়া তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। কোন অপরাধীর রেহাই নেই। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে দুদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর রবিবার রাতে শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন ও মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী কর্মচারী নেতা নাসিরউদ্দিন এবং লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিনের গ্রেফতার দেখিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। মোতালেবকে মোহাম্মদপুরের বছিলা এবং নাসিরউদ্দিন ও খালেদ হাসান মতিনকে গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে বলে জানায় ডিএমপি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গ্রহণ ও বিতরণ শাখার উচ্চমান সহকারী নাসিরের কাছে নগদ এক লাখ ৩০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তারা। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোতালেব ও নাসিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর মতিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জঙ্গীবাদে অর্থায়নের অভিযোগে। শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নে। তিনি গ্রীন রোডে সরকারী কোয়ার্টারে থাকেন। বছিলায় নিজস্ব জমিতে ছয় তলা বাড়ি নির্মাণ করছিলেন তিনি। রবিবার গ্রেফতারের খবর প্রকাশের পর থেকেই ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় সর্বত্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনার অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এ ঘটনা। কেন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে সোমবার সেই প্রশ্নই ছিল সবার। তবে গণমাধ্যমে গ্রেফতারের খবর প্রকাশের পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদফতরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে। অনেক সাধারণ কর্মচারীও ভীত হয়ে পড়েন অজানা আতঙ্কে। আটক দুই কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে সম্পৃক্তরা কেউ কেউ ভয়ে মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। শিক্ষামন্ত্রীর কক্ষে মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু আলম কান্নাকাটি করছিলেন। তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে বলেন, দুই জনকে অপহরণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে শনিবার বিকেলে আমার বাসায় সাত-আট জন লোক গিয়ে আমাকে খুঁজেছে। আমি বাইরে কোথাও যেতে ভয় পাচ্ছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক ও বাংলাদেশ সচিবালয় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এরপর আমাকে অপহরণের শিকার হতে হবে। আমাকে সহকর্মীরা সাবধানে থাকতে বলেছেন। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পিকনিকের টাকা যাদের কাছে রয়েছে তারাই অপহরণের শিকার হয়েছেন। বিষয়টি ভয় পাওয়ার মতোই। সোমবার মন্ত্রণালয়ের গিয়ে দেখা যায় কর্মচারীদের মধ্যে একই আতঙ্ক। এর মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু আলমকে খুঁজে পাওয়া গেল না অফিস কক্ষে। মোবাইলে কল করা হলেও দেখা যায় সেটি বন্ধ। পরে জানা গেল, ভয়ে এ কর্মকর্তা ছুটি নিয়ে বাসায় মোবাইল বন্ধ করে বসে আছেন। এ অবস্থায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই বলছেন, আবু তালেকের ভূমিকা সন্দেহের জন্ম দিচ্ছে। কারণ বিতর্কিত লেকহেক গ্রামার স্কুল খোলার অনুমতি পত্র ইস্যুর শাখাতেই (মাধ্যমিক) দায়িত্ব পালন করেন আবু তালেব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জঙ্গীবাদে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটি খুলে দেয়ার আদেশ ইস্যুর বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণের অপরাধেই গ্রেফতার হয়েছেন মোতালেব ও নাসিরউদ্দিন। সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে ও স্কুলটিতে চলা জঙ্গীবাদী তৎপরতা ও একাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তার এ তৎপরতায় জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে গেল বছরই। সংস্থার প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুসারেই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এরপর প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিরা সরকারের আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে গেলে এক পর্যায়ে সেটি খোলার আদেশ দেন আদালত। তবে পরিচালনা পর্ষদে জেলা প্রশাসক ও সেনাবাহিনীর শিক্ষা কোরের অফিসারদের অন্তর্ভুক্তির আদেশ দেন আদালত। এই পর্যায়ে এসেই উগ্রবাদী এ প্রতিষ্ঠান দ্রুত খোলার অনুমতি নিয়ে দিতে লেকহেডের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন গ্রেফতার দু’কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে মোটা অঙ্কেও ঘুষ খেয়ে দ্রুত ফাইল ছাড়ার ব্যবস্থা করেন বলে প্রমাণ মিলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনকণ্ঠকে বলেন, আদালত অনুমতি দিয়েছে খুলতে। এমনিতেই হয়ত মন্ত্রণালয় খুলে দিত। কিন্তু এই কাজে একটি চক্র জড়িত ছিল বলেই প্রমাণ মিলছে। শিক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন ॥ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুইজনের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরেছে নিশ্চয়ই কোন অভিযোগ আছে। সে অভিযোগ কোর্টে প্রমাণ হবে এবং শাস্তি হবে। সেই বিধান অনুসারে আমাদের যে সিস্টেম আছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুজনের নিখোঁজের খবরে সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেও এখন আর ‘চিন্তÍা করার দরকার নেই’ মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, এটা এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (ধরে) নিলে কিছু না কিছু কারণ আছে। দুর্নীতি হোক অন্য যে কোন ধরনের অপরাধ হতে পারে, অপরাধ আছে। তারা অপরাধী। কোন অপরাধীর রক্ষা নেই। এদিকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজার ম-প ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পুলিশ ও ডিবি কাউকে ধরলে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ধরে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে বলেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী অভিযোগ আনা হয়েছে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে এর জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এখনও এ নিয়ে তদন্ত চলছে এবং পুলিশ কাজ করছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। আলোচনায় মোতালেবের সাত তলা ভবন ॥ এদিকে আলোচনায় সামনে চলে এসেছে কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনের বছিলায় নির্মাণাধীন সাত তলা ভবন। রাজধানীর বছিলা রোডে সাত তলা বাড়ি বানাচ্ছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর এ ব্যক্তিগত কর্মকর্তা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, নির্মাণাধীন এই বাড়িটি এখন যে অবস্থায় আছে জমিসহ সেটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। বাড়িটি সম্পন্ন করতে আরও লাগবে অন্তত এক কোটি টাকা। বাড়িটি দুটি ইউনিটের। প্রতি ইউনিটে দুটি বেডরুম, একটি ডাইনিং রুম, দুটি বাথরুম এবং দুটি বারান্দা রয়েছে। সিঁড়িসহ লিফটের পজিশনও রয়েছে। একদম নিচ তলায় গ্যারেজের জন্য জায়গা রাখা হয়েছে। শুধু দোতলায় দুটি ইউনিট সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি তলাগুলো খালি পড়ে আছে। কক্ষের দেয়াল তোলাসহ বাকি কাজ সম্পন্ন করা হয়নি। ভবনটির পাশেই বাস করেন আজহার আলী। তিনি বলছিলেন, মোতালেব হোসেনের এই বাড়িটি ৩ কাঠা জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০০৪ সালে মোতালেব হোসেন ৩ কাঠা জমি কিনেছিলেন ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায়। তখন প্রতি কাঠা জমির দাম ছিল ৯০ হাজার টাকা। মোতালেব হোসেন, জামাল উদ্দিন এবং এক মাদ্রাসার প্রিন্সিপালসহ কয়েকজন মিলে একই দাগে মোট জমি কিনেছিলেন ১৫ কাঠা। এর মধ্যে মোতালেব হোসেন কিনেছিলেন ৩ কাঠা। মোতালেব হোসেনের বাড়িটিতে সাত তলা ফাউন্ডেশন দেয়া হয়েছে। বাড়িটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন এক বছর আগে। বাড়িটিতে ইতোমধ্যে আনুমানিক খরচ হয়েছে দেড় কোটি টাকা। আরও অন্তত এক কোটি টাকা খরচ করতে হবে বাড়িটি সম্পন্ন করতে। স্থানীয়রা জানান, এই এলাকার বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি কাঠা জমি ৬০ লাখ টাকা। সে হিসেবে মোতালেবের ৩ কাঠা জমির দাম বর্তমানে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মোতালেব প্রায়ই বাড়িটিতে আসতেন। নির্মাণ কাজের খোঁজখবর নিতেন। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ধানম-ির ৬/এ সড়কে প্রতিষ্ঠিত হওয়া লেকহেড গ্রামার স্কুলের বিরুদ্ধে জঙ্গী তৎপরতায় ইন্ধন দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই স্কুলের বনানী ও গুলশানে আরও দু’টি শাখা রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালীন এই স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন জেনিফার আহমেদ, যিনি বাংলাদেশে হিযবুত তাহরির সংগঠিত করার অন্যতম প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম মাওলার স্ত্রী। জেনিফার নিজেও হিযবুতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০০৯ সালে হিযবুত তাহরির নিষিদ্ধ হওয়ার পর এই স্কুল প্রথম আলোচনায় আসে। ওই বছরই এই স্কুল পরিচালনার পূর্ণ দায়িত্ব নেন হারুন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কর্ণধার হারুন অর রশিদ ও তার ছেলে রেজোয়ান হারুন। শুরু থেকেই এই স্কুলে এমন শিক্ষকরা কর্মরত ছিলেন, যাদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে জঙ্গী তৎপরতায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। নেপথ্যে থেকে তাদের সাংগঠনিক কাজকর্ম সম্পাদন করতেন রেজোয়ান হারুন। বেশিরভাগ সময় লন্ডনে থাকলেও চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে প্রকাশ্য চলাফেরা বন্ধ করে আত্মগোপন চলে যান তিনি। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে শুক্রবার দেশে ঢুকলেও পরে আত্মগোপনে চলে যান। রেজোয়ান হারুনের লেকহেড গ্রামার স্কুলে আলোচিত যুক্তরাষ্ট্রগামী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ উড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে গ্রেফতার হওয়া রাজীব করিম, তার ভাই তেহজিম করিম ও তেহজিবের স্ত্রী সিরাত করিম শিক্ষক ছিলেন। ২০১০ সালে ইয়মেনে আল-কায়েদা বিরোধী অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তেহজিব করিম। তেহজিবের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া মাইনুদ্দিন শরীফও এই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। এছাড়া পরিবারসহ সিরিয়ায় চলে যাওয়া মাইনুদ্দিনের ভাই রেজোয়ান শরীফও এই লেকহেডের শিক্ষক ছিলেন। দায়িত্বশীল এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, রেজোয়ান হারুনের সঙ্গে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আধ্যাত্মিক নেতা কারাবন্দী জসিমউদ্দিন রাহমানী, আনসারুল্লাহার আরেক শীর্ষ নেতা রেজওয়ানুল আজাদ রানা, পাকিস্তানে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশী জঙ্গী ইফতেখার আহমেদ সনি, জঙ্গী কার্যক্রমের সঙ্গে অভিযুক্ত ও নিখোঁজ হওয়া ফারজাদ হক তুরাজ, জুবায়েদুর রহমান, তাসনুভা হায়দার, ইয়াসিন তালুকদার, আরিফুর রহমানের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তারা সবাই বিভিন্ন সময়ে রেজোয়ান হারুনের লেকহেড গ্রামার স্কুলে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকতা করেছেন। এমনকি হলি আর্টিজানে হামলাকারীদের প্রশিক্ষণদাতা সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর জাহিদুল ইসলামও লেকহেড গ্রামার স্কুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতেন। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রূপনগরে জঙ্গীবিরোধী এক অভিযানে জাহিদ মারা যায়।
×