ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার মাতবরদের কালক্ষেপনের পর অবশেষে থানায় মামলা

প্রকাশিত: ২২:২৩, ২২ জানুয়ারি ২০১৮

স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার মাতবরদের কালক্ষেপনের পর অবশেষে থানায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে গ্রাম্য বিচারের নামে কালক্ষেপনের পর অবশেষে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার সকালে গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রী। এ মামলায় একই এলাকার রণি নামের এক যুবককে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই রণি পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে খুজছে। জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গত ১৭ জানুয়ারি গোদাগাড়ী পৌর এলাকার সারাংপুর মহল্লার আফতাব আলীর ছেলে সাইকেল মেকার রণি বিয়ের প্রলোভন দিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ওইদিনই ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত যুবকের স্থানীয় ভাবে বিচার করা হবে বলে আশ্বস্ত করলেও কালক্ষেপন শুরু করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ফলে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে ওই ছাত্রী। স্থানীয় সূত্র জানায়, গোদাগাড়ী সদর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের এক নবম শ্রেণীর ছাত্রীর সঙ্গে পৌর এলাকার সারাংপুর গ্রামের রনির (২৫) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই সূত্র ধরে বিয়ের প্রলোভনে গত ১৭ জানুয়ারী রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ওই ছাত্রীর বাসায় দেখা করার নাম করে বাড়ীতে প্রবেশ করে রণি। বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে রণি। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে তার মাসহ আশেপাশের লোকজন চলে আসে। এই সময় অভিযুক্ত রণি ঘরের জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। এদিকে ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় কাউন্সিলরের সরনাপন্ন হন। এছাড়া গ্রাম্য মাতবররাও বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে নিবে বলে আশ্বাস দেয়। তবে ঘটনার পর থেকেই তারা কালক্ষেপন শুরু করে। একাধিকবার মিমাংসার কথা বলেও অভিযুক্তকে হাজির করতে পারে নি। অবশেষে সোমবার ওই ছাত্রী ও পরিবারের সদস্যরা গোদাগাড়ী থানায় হাজির হয়ে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, আমার মেয়ের সর্বনাশ হয়েছে। অথচ বিচার করার নামে টালবাহানা করছে, কালক্ষেপন করছে। ফলে তারা পুলিশের সরনাপন্ন হয়েছেন। গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আলতাফ হোসেন জানান, মামলা রেকর্ডের পর ওই ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে। আসামী রণিকে গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।
×