ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিপীড়নকারীদের বহিষ্কারের দাবিতে ঢাবিতে ফের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০২:৩৭, ২১ জানুয়ারি ২০১৮

নিপীড়নকারীদের বহিষ্কারের দাবিতে ঢাবিতে ফের বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর নিপীড়নকারী ছাত্রলীগ কর্মীদের বহিষ্কারের দাবিতে ফের বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা মামলাকে অযৌক্তিক দাবি করে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। এসময় ৪৮ কর্মঘণ্টার আল্টিমেটামে যে দাবি জানানো হয়েছিল তা মেনে নেওয়ার দাবি জানান। দাবি মেনে না নিলে মঙ্গলবার উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দেন তারা। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) দিয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভেতরে প্রবেশ করে। সেখান থেকে কলাভবনের ভেতরের প্রথম ও দ্বিতীয় তল প্রদক্ষিণ করে। পরে আবার টিএসসি হয়ে মিছিলটি আইন অনুষদ প্রদক্ষিণ করে মোকাররম ভবন এলাকায় প্রবেশ করে। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। এরপর কার্জন হল এলাকা ঘুরে মিছিলটি শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির বলেন, ‘যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলা করেছেন প্রক্টর। আমরা তো অজ্ঞাতনামা নই। আমাদের ছবি ফেসবুক, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় এসেছে। আমরা স্বীকার করেছি যে, আমরাই অজ্ঞাতনামা। ছাত্রলীগের কেউ তো তাদের দোষ স্বীকার করেনি। অজ্ঞাতনামা মামলায় হয় আমাদের গ্রেফতার করতে হবে নইলে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা তুলে নিতে হবে। তিনি বলেন, যৌন নিপীড়নকারী ছাত্রলীগ নেতা যাদের আমরা চিহ্নিত করেছি তাদেরকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে। আর যদি আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হয় তবে মঙ্গলবার আমরা ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করবো। উল্লেখ্য, সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ১১ জানুয়ারি থেকে আন্দোলন করে আসছিল। গত ১৫ জানুয়ারি দুপুরে আন্দোলনরতরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দাবি আদায়ের লক্ষে অবস্থান নেন। তখন প্রশাসনের ডাকে ছাত্রলীগ আন্দোলন বন্ধ করার জন্য শিক্ষার্থীদের উপর নিপীড়ন চালায়, ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে। এরপর ১৭ জানুয়ারি নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা নিপীড়নকারী ছাত্রলীগ নেতাদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে তারা প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানির কাছে তিন দফা দাবী নিয়ে যান। আন্দোলনকারীরা প্রক্টর অফিসের সামনে গেলে তারা অফিসের প্রধান ফটক বন্ধ পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রক্টর অফিসের কলাপসিবল গেইট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন এবং প্রক্টরকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা যাবৎ অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে প্রক্টর শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের কাছে নিয়ে যান। উপাচার্য তাদের দাবিগুলো শুনে তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। তখন শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ৪৮ কর্মঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। গত ১৮ জানুয়ারি রাতে প্রক্টর ওই দিনে ভাংচুর করার জন্য অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামী করে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
×