ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

নারায়ণগঞ্জে সংর্ঘষের ঘটনায় ৬ দিনেও থানায় মামলা হয়নি

প্রকাশিত: ০২:৩৬, ২১ জানুয়ারি ২০১৮

নারায়ণগঞ্জে সংর্ঘষের ঘটনায় ৬ দিনেও থানায় মামলা হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জ নগরীর চাষাঢ়ায় এলাকায় ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার ছয় দিনেও কোন মামলা হয়নি। গত মঙ্গলবারের গোলাগুলি, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের সময়ে যে সব অস্ত্র ব্যবহার ও প্রদর্শন করা হয়েছে সেগুলো শনাক্ত বা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় এখনও কেউ আটক হয়নি। সংঘর্ষের সময় সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সাংবাদিকরা। এদিকে রবিবারও বঙ্গবন্ধু সড়ক হকারমুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কসহ প্রধান প্রধান সড়কের ফুটপাথ থেকে হকার উচ্ছেদ করা হয়। এরপর থেকে হকাররা বঙ্গবন্ধুসহ সকল সড়কের ফুটপাথে বসে ব্যবসা করার জন্য মানববন্ধনসহ নানাভাবে আন্দোলন করে আসছিল। কিন্তু সড়কের ফুটপাথগুলো হকারমুক্ত রাখার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। এই সিদ্ধান্তে হকাররা প্রতিবাদ জানালে তাদের সমর্থন দেন শামীম ওসমান। তাদের আবারও ফুটপাথে বসানোর ঘোষণা দেন শামীম ওসমান। এর প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) নগর ভবন থেকে পায়ে হেঁটে মেয়র আইভী তার নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিলসহ চাষাঢ়া এলাকায় আসেন। এ সময় শামীম ওসমানের সমর্থক ও হকারদের সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আইভীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় গোলাগুলি, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে মেয়র আইভী, সাংবাদিক ও পুলিশসহ কমপক্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহন হন। অভিযোগ উঠেছে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে সন্ত্রাসী নিয়াজুল ইসলাম হামলা ও গুলি চালিয়েছে। এরপর থেকে নিয়াজুলকে গ্রেফতারের দাবি জানান বিভিন্ন মহল। রবিবার রাত ৭টা পর্যন্ত পুলিশ নিয়াজুলকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিক্তি পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। নিয়াজুলকে এখনও পাওয়া যায়নি। তবে তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-ক) মোঃ শরফুদ্দীন জানান, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাথে কোন হকারকে বসতে দেয়া হচ্ছে না। রবিবারও বঙ্গবন্ধু সড়কটি একেবারেই ফাঁকা ছিল।
×