ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রত্যেক বিভাগে বিশেষায়িত হৃদরোগ হাসপাতাল নির্মাণ হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:৫০, ২১ জানুয়ারি ২০১৮

প্রত্যেক বিভাগে বিশেষায়িত হৃদরোগ হাসপাতাল নির্মাণ হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ দেশে হৃদরোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এ কারণে সরকার প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে একটি করে স্বতন্ত্র হৃদরোগ বিশেষায়িত হাসপাতাল (উন্নতমানের হার্টের চিকিৎসার জন্য) পর্যায়ক্রমে স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি জানান, বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে সারা দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নতমানের হার্টের চিকিৎসার জন্য করোনারী কেয়ার ইউনিটসহ আলাদা হৃদরোগ বিশেষায়িত বিভাগ ও কিডনি বিভাগ খোলা হয়েছে। এসব হৃদরোগ বিভাগগুলোতে উন্নতমানের হৃদরোগ চিকিৎসার সকল প্রকার ঔষধ (ব্যয়বহুলসহ) বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে এবং বেশ কিছু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনজিওগ্রামসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের প্রথম সারির অধিক গুনগত মানসম্পন্ন ৩০টি ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দেশের চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ পূরণ করে থাকে এবং শতকরা ১০ ভাগ ঔষধ অন্যান্য মাঝারি ও ছোট ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও আমদানীর মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে। তিনি জানান, দেশের নামি-দামী কিছু কোম্পানীর কিছু কিছু ব্রান্ডের ঔষধ নকল হয় যা অত্যন্ত নগন্য। এ সকল নকল-ভেজাল ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের সহায়তায় ঔষধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া, নকল ঔষধ সনাক্তকরণ এবং ঔষধের নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয়ের বিষয়ে অনলাইন ভিত্তিক রিপোর্টিংয়ের জন্য ওয়েব পোর্টাল ও মোবাইল এপ্লিকেশন শীর্ষক একটি প্রকল্পের কার্যক্রম বর্তমানে পাইলটিং পর্যায়ে রয়েছে। উক্ত সফলওয়্যারের মাধ্যমে জনগণ ঔষধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিষয়ে রিপোর্ট করতে পারবে, ঔষধের নির্ধারিত মূল্য যাচাই করা সম্ভবপর হবে, দেশে যে কোন এলাকায় প্রাপ্ত ভেজাল ও নকল ঔষধ সম্পর্কে স্বল্প সময়ে নিশ্চিত হতে পারবে এবং ঔষধ সংক্রান্ত যে কোন অভিযোগ দ্রুত দাখিল করতে পারবে। সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানান, রোহিঙ্গা শিশুদের দ্রুত টিকাদানের আওতায় আনতে সরকার ব্যপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে জন্ম নেওয়া নবজাতকের জন্মনিবন্ধনের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে এবং ইউএনএইচসিআর নামক সহযোগী সংস্থা বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় জন্মনিবন্ধণের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
×