স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা দুই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টেস্ট সিরিজ জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাও আবার র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল ভারতের বিপক্ষে। তবে প্রোটিয়ারা এখানেই থামতে চায় না। লক্ষ্য প্রতিপক্ষকে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ করা। সদ্যই বিশ্বসেরা বোলারের স্বীকৃতি পাওয়া কাগিসো রাবাদা তেমনটাই জানিয়েছেন। গত ২৫ বছরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কখনই টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি ভারত। অনেকে ভেবেছিলেন বিরাট কোহলির নেতৃত্বে দুর্দান্ত এই দলটি এবার সেই ইতিহাস বদলাতে পারবেন। কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই হয়নি। প্রথম দুটি টেস্টে ফ্যাফ ডুপ্লেসিসদের কাছে পাত্তাই পায়নি তারা। ৩-০তে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে বুধবার জোহানেসবার্গে শুরু হতে যাওয়া শেষ ম্যাচটা জিততেই হবে কোহলিদের।
রাবাদা বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ম্যাচেই জিততে চাই। যখনই খেলতে নামি, এছাড়া অন্য কিছু ভাবি না। সিরিজটা ৩-০ করতে চাই।’ ঘরের মাটিতে পেস আক্রমণ দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। একইভাবে ভারতীয় পেস আক্রমণ সামলাতেও ঝামেলায় পড়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। রাবাদা বলেন, ‘ওদের আক্রমণকে সম্মান জানিয়েই বলছি, পেস বোলিং কিভাবে খেলতে হয় তা আমাদের ভালই জানা আছে।’ দুর্ধর্ষ কৃষ্ণাঙ্গ এই পেসার মনে করেন, ভারতীয় দল খুব বেশি মাত্রায় বিরাট কোহালির ওপর নির্ভরশীল, ‘আমার মনে হয়, বিরাটের ওপর ওরা খুব বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল। তবে আমরাও দু’তিনজন ক্রিকেটারের ওপর একটু বেশি নির্ভর করে থাকি। আমি বলছি না যে, ভারতের আর কোন দারুণ ক্রিকেটার নেই। কিন্তু এটা ঠিক যে ওদের হয়ে বেশিরভাগ রান কোহলিই করছে। তাই কোহলি আউট হলে দলও চাপে পড়ছে। ’
দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে আসার আগে ভারতের প্রস্তুতি সে রকম হয়নি বলে নানা জায়গা থেকে কথা উঠছে। রাবাদাকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না ভারত কেমন প্রস্তুতি নিয়েছে। সেটা দেখার কাজ আমাদের নয়। আমরা শুধু একটা ব্যাপার নিয়েই চিন্তা করতে পারি। সেটা হলো কিভাবে ভারতকে আউট করতে হবে।’ পরের টেস্ট ওয়ান্ডারার্সে। যা নিয়ে রাবাদার বক্তব্য, ‘ওয়ান্ডারার্সে বল করতে ফাস্ট বোলাররা সবাই মুখিয়ে আছে। এই পিচে পেস, বাউন্স, মুভমেন্ট সবই আছে। তাই পেসাররা এখানে সবসময় বল করতে চায়।’ ভারতীয় পেসারদের নিয়ে রাবাদার বিশ্লেষণ, ‘যশপ্রিতা খুবই ভাল বোলার। ওতো ভারতের হয়ে বোলিং ওপেনও করছে। এছাড়া মোহাম্মদ শামি অভিজ্ঞ বোলার। ওর গতিও খুব ভাল। ভুবনেশ্বর কুমার আছে। কেপ টাউনে সে আমাদের সমস্যায় ফেলেছিল। উমেশ যাদবও ভাল। সবমিলিয়ে ভারতীয় পেস বোলিংয়ের ভবিষ্যত উজ্জ্বল।’
অন্যদিকে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ খোয়ানোর পর কোহলির দল যখন সমালোচনায় বিদ্ধ তখন তাদের পাশে দাঁড়িছেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক ও বড় তারকা মহেন্দ্র সিং ধোনি, ‘আপনারা এই সিরিজ হারের মধ্যে থেকে ইতিবাচক ব্যাপারগুলো দেখুন। টেস্ট ম্যাচে জিততে হলে অবশ্যই প্রতিপক্ষকে অলআউট করতে হয়। আমরা কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম দুটি টেস্টে ২০টি করে উইকেট নিয়েছিলাম। এটা বড় একটা ইতিবাচক দিক। এর অর্থ হলো আমরা ঠিক রাস্তায় আছি। একবার ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারলেই জয়ের জায়গায় পৌঁছে যাব।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: