ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আমতলীতে কিশোরী অপহরন ॥ অবরুদ্ধ করে রেখেছে অপহৃতার পরিবারকে!

প্রকাশিত: ০২:৩৭, ২০ জানুয়ারি ২০১৮

আমতলীতে কিশোরী অপহরন ॥ অবরুদ্ধ করে রেখেছে অপহৃতার পরিবারকে!

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার রাওঘা গ্রামের এক ১২ বছরের কিশোরী অপহরন হয়েছে। একই গ্রামের শাহ আলম গাজীর ছেলে জুয়েল গাজী অপহরন করেছে বলে অভিযোগ অপহৃতার পরিবারের। ঘটনা ঘটেছে বুধবার রাতে। প্রভাবশালী অপহরনকারীর পরিবারের লোকজন অপহৃতার বাবাসহ পরিবারের লোকজনকে তিন দিন ধরে বাড়ীতে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। অপহৃতার পরিবারের সদস্যরা জীবনের ভয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না। শনিবার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনার তদন্তে এলাকা পরিদর্শন করেছে। জানাগেছে, উপজেলার রাওঘা গ্রামের প্রভাবশালী শাহ আলম গাজীর বখাটে ছেলে জুয়েল গাজী দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের ১২ বছরের এক কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বুধবার রাতে ওই কিশোরীর বাবা ও মা দিন মজুরের কাজে বাহিরে ছিল। এ সুবাদে বখাটে জুয়েল কিশোরীকে অপহরন করে নিয়ে যায়। কিশোরীর বাবা মা বাড়ীতে এসে তাকে (কিশোরী) দেখতে না পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানের কাছে ঘটনা জানায়।এতে ক্ষিপ্ত হয় বখাটে জুয়েলের পরিবার। বৃহস্পতিবার সকালে অপহৃতার বাবা মামলার করার জন্য থানায় আসার খবর পেয়ে বখাটে জুয়েলের বাবা শাহ আলম গাজী ও চাচা রুহুল আমিন গাজী অপহৃতার বাবাকে বাড়ীতে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং মামলা করলে জীবন নাশের হুমকি দেয়। তাদের ভয়ে অপহৃতার পরিবারের লোকজন গত তিন দিন ধরে বাড়ী থেকে বের হতে পারছে না। শনিবার পুলিশ এ খবর পেয়ে ঘটনা তদন্তে এলাকা পরিদর্শন করেছে। কিশোরীর বাবা মুঠোফোনে জানান, শাহ আলম গাজীর ছেলে জুয়েল গাজী দীর্ঘদিন ধরে আমার কন্যাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ ঘটনা জুয়েলের পরিবারকে জানালেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বুধবার আমি ও আমার স্ত্রীর দিন মজুরের কাজে যাই। বাড়ীতে আসতে রাত হয়েছে। এ ফাঁকে জুয়েল আমার কন্যাকে অপহরন করে নিয়ে গেছে। তিনি আরো জানান এ ঘটনা স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে জুয়েলের পরিবার আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে বাড়ীতে অবরুদ্ধ করে রাখে। গত তিন দিন ধরে আমি বাড়ী থেকে বের হতে পারছি না। আমি মামলা করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বখাটে জুয়েলের চাচা রুহুল আমিন গাজীর কাছে মুঠোফোনে (০১৭২৫৯৬১০৬৭) এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন জবাব না দিয়ে ফোন কেটে দেয়। আমতলী থানার ওসি মোঃ শহিদ উল্যাহ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, অপহৃতাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
×