ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটেনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম মুসলিম নারী মন্ত্রী নুস ঘানি

প্রকাশিত: ২৩:২২, ২০ জানুয়ারি ২০১৮

ব্রিটেনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম মুসলিম নারী মন্ত্রী নুস ঘানি

অনলাইন ডেস্ক ॥ এই প্রথম ব্রিটেনের মন্ত্রিসভায় এলেন এক মুসলিম মহিলা মন্ত্রী। ভারতীয় বংশোদ্ভূত নুস ঘানি প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র মন্ত্রিসভায় পেয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রকের পার্লামেন্টারি আন্ডার-সেক্রেটারির দায়িত্ব। নতুন বছরে মে মন্ত্রিসভার প্রথম রদবদলে ৪৫ বছর বয়সী নুসকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথম মুসলিম মহিলা মন্ত্রী হিসাবে নুস শুক্রবার ভাষণ দিয়েছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘হাউস অফ কমন্স’-এ। নুসের মা, বাবা ছিলেন পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা। সেখান থেকে তাঁরা চলে যান ব্রিটেনের বার্মিংহামে। নুসের জন্ম বার্মিংহামেই। ‘হাউস অফ কমন্স’-এ তাঁর প্রথম ভাষণটি দেওয়ার পরপরই টুইট করেন নুস। সেই টুইটে নুস লেখেন, ‘‘পরিবহণমন্ত্রী হিসেবে আমার ইনিংস শুরু করলাম। ব্রিটেনের প্রথম মুসলিম মহিলা মন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসও গড়ে ফেললাম।’’ কোনও দফতরের মন্ত্রীরা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘হাউস অফ কমন্স’-এ যেখান থেকে তাঁদের ভাষণ দেন, নুস এ দিন সেই ‘ডিসপ্যাচ বক্স’-এ দাঁড়িয়েই তাঁর প্রথম ভাষণটি দিয়েছেন পার্লামেন্টে। নতুন দায়িত্ব পেয়ে কেমন লাগছে, একটি বিবৃতিতে এ দিন তা শেয়ার করেছেন নুস। বলেছেন, ‘‘আমার কাছে এই দায়িত্বটা খুব এক্সাইটিং। চ্যালেঞ্জিংও। পরিবহণ আমার খুব প্রিয় বিষয়। ওয়েলডেন থেকে এমপি হওয়ার জন্য প্রচারের সময় থেকেই আমি পরিবহণের উন্নতির দাবি জানিয়ে আসছি। মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি আমি ওয়েলডেনের মানুষের প্রত্যাশা পূরণেও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাব।’’ এর আগে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পার্লামেন্টারি প্রাইভেট সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন নুস। নুসকে স্বাগত জানাতে গিয়ে তাঁর দফতরের পূর্ণমন্ত্রী পরিবহণ সচিব ক্রিস গ্রেলিং বলেছেন, ‘‘নুসের প্রোমোশন প্রমাণ করল, কনজারভেটিভ পার্টি (‘টোরি’)-তে সুযোগের অভাব হয় না। নুসের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত।’’ ব্রিটেনের এমপি হওয়ার জন্য নুস প্রথম নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন ২০১০ সালে। তার ৫ বছর পর, ২০১৫-য় কনজারভেটিভ পার্টির প্রথম মুসলিম মহিলা এমপি হন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। ২০১৭ সালে ফের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তাঁর মায়ের মাতৃভাষা উর্দুতে শপথ নেন নুস। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×