ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

স্টেডিয়ামে জুয়া ধরলে তাৎক্ষণিক বিচার

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ২০ জানুয়ারি ২০১৮

স্টেডিয়ামে জুয়া ধরলে তাৎক্ষণিক বিচার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অনেকদিন ধরেই জুয়াড়ি, বাজিকর ও ম্যাচ ফিক্সিং ধরতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তৎপর। সেজন্য দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের (আকসু) কার্যক্রমও আছে। কারণ স্টেডিয়ামে খেলা দেখার ছলে দর্শকদের জুয়ায় জড়ানো নতুন কিছু নয়। গত কয়েক বছরে বরং মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই চর্চাটা। এবার তাতে টানতে আরও বেশি তৎপর হয়েছে বিসিবি। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্থাপন করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান। তিনি জানিয়েছেন কাউকে মাঠে এবং এর আশেপাশে জুয়ার সঙ্গে জড়িত অবস্থায় ধরার সঙ্গে সঙ্গেই তাৎক্ষণিক বিচার করে শাস্তি দেয়া হবে। সেই শাস্তিটা ৬ মাস থেকে ১ বছরের কারাদ-ও হতে পারে। চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজে শুক্রবার মিরপুরে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচেই মাঠে উপস্থিত হন মশিউর। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দর্শকদের জুয়া খেলতে দেখলেই আটক করা হবে এবং এই অপরাধে জেল হতে পারে ছয় মাস থেকে এক বছর। তিনি বলেন, ‘সরকারী নিষেধ অনুসারে জুয়া খেলা অবৈধ। তো এটা খেলা মানে হলো সরকারী আদেশ অমান্য করা। আমরা এইভাবে জুয়া খেলার অপরাধকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অধীনে আনতে পারি। শাস্তিও দেয়া হবে অপরাধের ধরনের ওপর বিবেচনা করে।’ শুধু ভ্রাম্যমাণ আদালতই নয়, যে কোন জুয়ার পাশাপাশি যৌন হয়রানি, নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবনসহ অন্য যে কোন অপরাধ শনাক্ত করতে স্টেডিয়াম এলাকায় কাজ করছে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। সশরীরে উপস্থিত হওয়ার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তাও প্রয়োগ করা হচ্ছে মাঠে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী এ বিষয়ে জানান, ‘জুয়া এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ কর্মকা-সহ যে কোন ধরনের অপরাধ বন্ধ করতে বিসিবি অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি তৎপর। এই তৎপরতার অংশ হিসেবে এবং স্টেডিয়ামে খেলা দেখার বিষয়টি দর্শকদের জন্য নিরাপদ করতেই মূলত ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং সরকারের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগিয়েছে বিসিবি।’
×