ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়

প্রকাশিত: ০২:২১, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ওয়ানডে খেলায় নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে ১৬৩ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচ বাকি রেখে ফাইনালে উঠেছে টাইগাররা। মাঠের খেলায় কোনো কিছুকেই পাত্তা দিল না বাংলাদেশ। কোচ হারিয়ে মুষড়ে পড়া তো দূরের কথা, সাবেক কোচকে উল্টো তিক্ত অভিজ্ঞতাই উপহার দিলেন মাশরাফি, সাকিব, তামিমরা। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাশরাফি বাহিনীর দাপুটে পারফরম্যান্সের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতেছে ১৬৩ রানের বড় ব্যবধানে। এটি রানের হিসেবে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। তামিম ইকবাল (৮৪), সাকিব আল হাসান (৬৭) আর মুশফিকের রহিমের (৬২) হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে ৩২০ রানের পাহাড়সম পুঁজি পায় বাংলাদেশ। জবাবে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়েছে মাত্র ১৫৭ রানে, ১৮ ওভারের মতো খেলা বাকি রেখে! শুরু থেকেই লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন বাংলাদেশের বোলাররা। দলের ২ রান উঠতেই একটি উইকেট হারায় লঙ্কানরা। পরে কিছুটা থিতু হয়েছিল উপুল থারাঙ্গা আর কুশল মেন্ডিসের জুটিটি। থারাঙ্গাকে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানিয়ে ৪১ রানের এই জুটিটি ভাঙেন বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। এরপর কুশল মেন্ডিসকেও বেশিদূর এগোতে দেননি মাশরাফি। তাকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে রুবেল হোসেনের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হন লঙ্কান দলের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তিনি করেন ১৯ রান। এরপর ১৬ রান করা ডিকভেলাকে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। বহুদিন পর মোস্তাফিজুর রহমানের বলে স্ট্যাম্প উড়তে দেখলেন ক্রিকেট অনুরাগিরা। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে নিরোশান ডিকভেলার অফস্ট্যাম্পটা একেবারে মাটি থেকে উপড়ে ফেলেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার। ২৮ রান করে রানআউটের ফাঁদে পড়েন দিনেশ চান্দিমাল। এরপর এক ওভারে জোড়া আঘাত সাকিবের। পর পর দুই বলে আসেলা গুনারত্নে (১৬) আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে (০) সাজঘরে ফিরিয়েছেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এরপর নিয়েছেন আরও একটি উইকেট। শেষ সময়ে মুড়ি মুড়কির মতো উইকেট পড়েছে শ্রীলঙ্কার। এর আগে, লঙ্কান দলের বাঁহাতি দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা আর কুশল পেরেরাকে ভড়কে দিতে নাসির হোসেনকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বুদ্ধিটা কাজে দিয়েছে বেশ। নাসিরের প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান নিতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা। মাশরাফি তো পরের ওভারে রানই দেননি। এর মধ্যে তার একটি এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে যান উপুল থারাঙ্গা। পরের ওভারের প্রথম বলেই আঘাত হানেন নাসির। ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে এসে তার নিচু হয়ে যাওয়া বল মিস করে বোল্ড হন ১ রান করা কুশল পেরেরা। এরপর মিড অফে মাশরাফিকে তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন থারাঙ্গা। লঙ্কান এই ওপেনার করেন ২৫ রান। বাংলাদেশের পক্ষে ৪৭ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। মাশরাফি আর রুবেল হোসেন নেন ২টি করে উইকেট। একটি উইকেট মোস্তাফিজের।
×