ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৪১১ কোটি টাকার প্রকল্প ॥ বদলে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও চিনিকলের চিত্র

প্রকাশিত: ০২:২০, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

৪১১ কোটি টাকার প্রকল্প ॥ বদলে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও চিনিকলের চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ দীর্ঘদিনের পুরনো ও নড়বড়ে ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। জেলার একমাত্র এই ভারী শিল্পটির কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয় আখচাষী, মিলের শ্রমিকসহ ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন মিলের এ কাজ শেষ হলে দেশের চিনির ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের জোয়ার আসবে। প্রায় ৬০ বছর আগে ১৯৫৬ সালে ঠাকুরগাঁও চিনিকলটি স্থাপিত হয়। ১৫ হাজার মে.টন চিনি উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এই চিনিকলে কয়েক বছর রেকর্ড পরিমাণ এবং উন্নতমানের চিনি উৎপন্ন হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে চিনিকলের মেশিনারি যতই পুরনো হতে থাকে ততই চিনি আহরণ ক্ষমতা কমতে থাকে। কোন কোন সময়ে নামমাত্র মেরামত ও ব্যাপক দুর্নীতির কারণে চিনিকলের উৎপাদনে ধস নামে এবং প্রতিষ্ঠানটি একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। সম্প্রতি “রিপ্লেসমেন্ট অফ ওল্ড মেশিনারি এন্ড এডিশন অব মেশিনারি ফর সুগার বিট প্রডাক্টশন” নামে একটি প্রকল্পের অধীনে ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের সার্বিক উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজের জন্য একনেকের এক সভায় চারশ’ ১১ কোটি ১০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প পাশ হয়েছে। এ কাজ চলতি বছরেই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে রয়েছে সুগারবিট উৎপাদন, পুরাতন যন্ত্রাংশ পূণস্থাপন, ডিস্টিলারিজ প্রজেক্ট, কো-জেনারেশন পাওয়ার প্লান্ট, বায়োগ্যাস, বায়ো কম্পোস্ট, রিফাইনারি সুগার প্লান্ট। একনেকের এ প্রকল্পকে ঘিরে ঠাকুরগাঁওয়ের ৬০ বছরের এই পুরনো সুগার মিলের কর্মকান্ডে এসেছে গতিশীলতা। কর্মকতা ও কর্মচারীদের ধারণা, এর মধ্য দিয়ে জেলার একমাত্র ভারী শিল্পটির চিত্র বদলে যাবে। অতীতে বার বার সরকারের দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা এই চিনিকলটিকে আধুনিকায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। অবশেষে একনেকের এক সভায় বর্ণিত প্রকল্পটি অনুমোদিত হয। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে এই জেলার একমাত্র ভারি শিল্পটিকে ঘিরে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন এলাকাবাসী।
×