ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আগামীকাল মুধুমেলা শুরু ॥ চলবে সাতদিন

প্রকাশিত: ০০:২১, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

আগামীকাল মুধুমেলা শুরু ॥ চলবে সাতদিন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৪তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার থেকে কবির জন্মস্থান কেশবপুরের সাগরদাঁড়ির মরা কপোতাক্ষ নদের তীরে সাতদিন ব্যাপী মধুমেলা শুরু হচ্ছে। আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার কারনে এবারও কবির জন্ম ২৫ জানুয়ারির পরিবর্তে আজ ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু করা হচ্ছে কবির জন্মবার্ষিকী ও সাতদিন ব্যাপী মধুমেলা। আজ বিকেলে জন্মবার্ষিকী ও সাতদিন ব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিকেলে কবির জন্মগৃহের মধুমঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, কেশবপুরে সাংসদ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শ্রী বীরেন শিকদার। মধুমেলাকে ঘিরে এলাকার মানুষের ভেতর উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে। দূরদূরন্ত থেকে মেলা উপলক্ষে আতœীয়-স্বজন আসার দিনক্ষন ঠিক করছেন। অনেকে মেলা দেখার আহবান জানিয়ে আতœীয়ের বাড়িতে ফোনে দাওয়াত দিচ্ছেন। মেয়ে-জামাই মেলা উপলক্ষ্যে বেড়াতে আসবে। মেলা দেখার সাথে খেজুরের রসে ভেজানো শীতের পিঠা দিয়ে আপ্পায়িত হবে কুটুমরা। এসব কারনে দক্ষিন-পশ্চিম এলাকার মানুষের ভেতর মধুমেলা আজ প্রানের মেলায় পরিনত হয়েছে। সাতদিন ব্যাপী মধুমেলায় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাগরদাঁড়ীর মধুমঞ্চে প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে কবির জীবনী ও সাহিত্যের উপর বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, নাটক, জারী, বাউল গান, পালাগানসহ নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে বরাবরের মতো এবার মেলার মাঠে থাকছে না পতুল নাচের নামে অশ্ল¬ীলতা প্রদর্শন এবং যাত্রার প্যান্ডেল। মেলা কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানূর রহমান জানিয়েছেন, সাতদিন ব্যাপী আলোচনা সভায় মধুকবির জীবনীর বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হবে। সপ্তাহব্যাপী মধুমেলায় এবার ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়ে গেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার নামকরা সাংকৃতির চিত্র তুলে ধরতে সেই সব এলাকার শিল্পীদের আনা হচ্ছে। এরমধ্যে চাপাই নবাবগঞ্চের গম্ভীরা, রংপুর-কুড়িগ্রামের ভাওয়য়া, রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ির পাহাড়ী নৃত্য, মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকদের গান, প্রয়াত শিল্পী আব্দুল আলীমের দুই ছেলেকেসহ সকল এলাকার ভাল ভাল শিল্পীদের আনা হচ্ছে। এছাড়া যশোর ও স্থানীয় সাংকৃতিক সংগঠনগুলোকে রাখা হয়েছে। যাত্রার আলাদা কোন প্যান্ডেল থাকবে না। আমরাই চৈতালী ও প্রতিমা অপেরাকে নিয়ে এসেছি। তারা উন্মুক্ত মধুমঞ্চেই যাত্রাপালা প্রদর্শন করবেন। আগের মতো যাত্রা ও পুতুল নাচের নামে কোন অশ্লীলতার সুযোগ থাকবে না।
×