ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণা বাড়াতে হবে ॥ শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:২২, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণা বাড়াতে হবে ॥ শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণা বাড়াতে হবে। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সৃষ্ট জ্ঞান জাতির মৌলিক ও বিশেষ সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সে ধরনের পরিকল্পনা থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সপ্তদশ সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন। সমাবর্তনে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন এবং উপাচার্য প্রফেসর এম এম শহিদুল হাসান বক্তৃতা করেন। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা খাতে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাঝে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি একটি অগ্রগণ্য বিশ্ববিদ্যালয়, যার সুনাম সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রবেশ করেছে। এরই মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সকল শর্তসমূহ পূরণ করে স্থায়ী সনদ অর্জন করেছে। তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারী খাতে উচ্চশিক্ষার একটি রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে, যাকে অনুসরণ করতে পারে অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মাঝে সবচেয়ে বেশি প্রযুক্তিও ব্যবহার করে এ বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কিছু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এখনও ন্যূনতম শর্তপূরণ করতে পারেনি। এভাবে তারা বেশিদিন চলতে পারবেন না। যারা নীতিমালা অনুসরণ করছেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে পদক তুলে দেন। এবারের সমাবর্তনে আন্ডার গ্রাজুয়েট ও গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের এক হাজার ৮৪০ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেয়া হয়। এছাড়া অনন্য মেধাবী তিনজন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক পরিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী। অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, বর্তমানে সারাবিশ্বে মানবিক মূল্যবোধের অবনতি ঘটছে। তাই তরুণদের একাডেমিক ও পেশাগত অর্জনের বাইরেও সহিষ্ণু সমাজ ব্যবস্থা এবং দেশ গঠনের জন্য দায়িত্বশীল মানুষ হতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে তরুণদের দেশপ্রেমিক এবং ভিশনারি উদ্যোক্তা হতে হবে। সেই সঙ্গে গড়ে তুলতে হবে দারিদ্র্যমুক্ত, সন্ত্রাসহীন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। প্রাথমিক সমাপনীর ফলে ৮০ হাজার আপত্তি গত মাসের প্রকাশিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলে সন্তুষ্ট না হয়ে আপত্তি জানিয়েছেন প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষার্থী। তারা সবাই ফল পরিবর্তনে জন্য আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে কেউ প্রাপ্ত ফল বাড়ানো, অনেকেই ফেল থেকে পাস করার জন্য আবদেন করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) কর্মকর্তার জানান, চলতি বছর প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে এ পুনর্নিরীক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে থানা শিক্ষা অফিসার বরাবর এ আবেদন করত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। চলতি বছর টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে এ আবেদনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে খাতা পুনর্নিরীক্ষণ আগের মতোই জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারে সহায়তা নিব ডিপিই। ডিপিই সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী অনুজ কুমার রায় বলেন, চলতি বছর কেন্দ্রীয়ভাবে এ পুনর্নিরীক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি। ফল প্রকাশের পরবর্তীতে নানা ধরনের অনিয়মের বিষয়টি মাথায় রেখেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফল প্রকাশের পরের দিন থেকে ১৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থী টেলিটক মোবাইলে মাধ্যমে ৭৯ হাজার ৭০৯ জন শিক্ষার্থী ফল পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন। ২০ দিন পর এ পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
×