ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইটিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে জেরেমি করবিন

‘যুক্তরাষ্ট্রই ব্রিটেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক সম্পর্ক নয়’

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

‘যুক্তরাষ্ট্রই ব্রিটেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক সম্পর্ক নয়’

যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের অশেষ আক্রমণাত্মক মন্তব্যের প্রতি নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তিনি ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তথাকথিত বিশেষ সম্পর্কের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন।- ইন্ডিপেনডেন্ট লেবার নেতা বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্রিটেন আসলে তার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তিনি বলেন, চীন ও ভারতসহ বিশ্বে অনেক দেশের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে ব্রিটেনের এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘকালীন দৃঢ় সম্পর্কের বিষয়টি থেকে নিজেকে দূরে রাখেন। তিনি বলেন, কেউই এ বিশেষ বা গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সংজ্ঞায়িত করতে কখনও সফল হননি। ট্রাম্পকে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ হৃদ্যতা দেখানো হচ্ছে না বলে তিনি মনে করেন। এমন রিপোর্ট প্রকাশিত হলে নতুন দূতাবাস উদ্বোধনের জন্য প্রেসিডেন্ট প্রস্তাবিত লন্ডন সফর বাতিল করেন এবং এরপরই এ প্রসঙ্গটি আসে। করবিন আইটিভির পেস্টন অন সানডে অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাতকারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, না আমি তা মনে করি এবং অনেক দেশের সঙ্গেই ব্রিটেনের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টত সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দৃশ্যত ইইউয়ের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্কও রয়েছে। কিন্তু ভারত ও চীনের সঙ্গে এবং বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় হতাশা হচ্ছে জাতিসংঘের মতো ও ইউনেসকোর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সমর্থনে তার ব্যর্থতা। তার এ হতাশার সৃষ্টি হয়েছে নারীদের সম্পর্কে, সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে এবং বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে তার বিরামহীন অসহিষ্ণু মন্তব্য থেকে। করবিন স্বীকার করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রভাব রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেশটি বিশ্বে এ রকমই এক অত্যন্ত সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি। টোরি দলের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্র্যান্ডন লুইস বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ব্রিটেনে স্বাগত জানানোটাই সঠিক হতো। করবিন সাক্ষাতকারে সমালোচনার প্রতি চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন এবং ব্রেক্সিটের পর একক বাজারে থাকার বিষয়টি বাতিল করে দেন। তিনি বলেন, একক বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদের ওপর নির্ভরশীল। ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের পর সংস্থার বাণিজ্য চুক্তিগুলোতে অন্তর্ভুক্ত থাকতে করবিন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেজন্য তিনি তার নিজের দলের এমপিদের কাছ থেকে চাপের সম্মুখীন হন।
×