ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভিডিও ফুটেজ দেখে অস্ত্রধারীদের ধরার চেষ্টা চলছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

ভিডিও ফুটেজ দেখে অস্ত্রধারীদের ধরার চেষ্টা চলছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে অস্ত্রধারীদের ধরার চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র ৫০ শয্যা থেকে এক শ’ শয্যায় উন্নীতকরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এ বিষয়ে যা যা করার দরকার আমরা সেটা করছি। অস্ত্রধারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সংঘর্ষের ঘটনা কী কারণে হলো, কারা করল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, কেউ আইনের উর্ধে নয়। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে ‘কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, যে কোন মূল্যে মাদকের বিস্তার রোধ করতে হবে। মাদকের লাগাম টেনে ধরতে হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণে না থাকলে ঐশীরা খুনী হবে। মাদকাসক্ত সন্তানের হাতে বাবা-মা খুন হোক। ফের ঐশী তৈরি হোক আমরা তা চাই না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মাদক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেমন কাজ করে যাচ্ছে তেমনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকেও শক্তিশালী করা হচ্ছে। আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা জিরো টলারেন্সের কথা বলেছি। মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হলে বাংলাদেশ পথ হারাবে। এক্ষেত্রে আমরা কতখানি সফল হয়েছি তার চেয়ে বড় কথা আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আশা করছি মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল হব। আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, দেশে মাদক তৈরি হয় না। তারপরও মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রেহাই পাইনি। মাদকের আগ্রাসন থেকে দেশকে বাঁচাতে সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলছি। ভারতকে সীমান্তবর্তী এলাকায় ফেনসিডিলের কারখানাগুলো বন্ধ করার অনুরোধ করেছি। তারাও আমাদের আহ্বানে সাড়া দিচ্ছেন। সার্বিক প্রচেষ্টায় এখন ফেনসিডিলের আগ্রাসন অনেক কমে এসেছে। ইয়াবার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলেছি। সীমান্ত এলাকায় ইয়াবা কারখানা বন্ধ করতে তারাও সাড়া দিয়েছেন। দেশে ইয়াবার চালান রোধে আমরা সজাগ রয়েছি। তিনি আরও বলেন, ফেনসিডিল, হিরোইন থেকে এখন ইয়াবার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এ বিষয়ে জানতে আমাদের ট্রেনিং দরকার। তাৎক্ষণিকভাবে মাদক বুঝতে পারলে ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে। শহরের অভিজাত এলাকায় অনেকভাবেই মাদক সেবন হচ্ছে। এগুলো খোলামেলাভাবে আর বলতে চাচ্ছি না। আমরা জানার চেষ্টা করছি এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। বর্তমানে প্রায় ৭০ লাখ মাদকাসক্ত। তাদের সেবা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব। মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের শয্যা সংখ্যা ক্রমান্বয়ে আরও বাড়ানো হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, স্বীকার করতে দ্বিধা নেই। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ছিল আগে ঠুঁটো জগন্নাথ। তিন জেলার দায়িত্বে ছিলেন মাত্র একজন কর্মকর্তা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতি জেলাতেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অফিস করা হচ্ছে। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাতে মাদক নিয়ন্ত্রণ করে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করার বিকল্প নেই।
×